ঢাকা, শনিবার, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

পিইসিতে কক্সবাজারে শীর্ষে পেকুয়া

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৭
পিইসিতে কক্সবাজারে শীর্ষে পেকুয়া পরীক্ষার্থীর ফাইল ছবি

কক্সবাজার: প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষায় কক্সবাজার জেলার ৪৪ হাজার ৪৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৪৩ হাজার ১১৭ জন। এবার পাসের হার ৯৭ দশমিক ৮৬ ও জিপিএ ৫ পেয়েছে ২ হাজার ৪৫৬ জন শিক্ষার্থী। এতে জেলায় পাসের হারে শীর্ষে রয়েছে পেকুয়া উপজেলা।

এবার ইবতেদায়িতে ১০ হাজার ৮৫৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১০ হাজার ৪৬১ জন। এবার পাসের হার ৯৬ দশমিক ১২ শতাংশ জিপিএ- ৫ পেয়েছে ২৩৪ জন শিক্ষার্থী।

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) কক্সবাজার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. শহিদুল আজম বাংলানিউজকে বলেন, এবার পিইসিতে পাসের দিক দিয়ে জেলার শীর্ষে রয়েছে পেকুয়া এবং সবচেয়ে পিছিয়েছে কুতুবদিয়া উপজেলা।

তবে জিপিএ-৫ শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে সদর উপজেলা। অন্যদিকে ইবতেদায়ি পরীক্ষায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ পেয়ে শীর্ষে রয়েছে চকরিয়া উপজেলা।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, শহরের তুলনায় গ্রামের স্কুল গুলোর ফলাফল এগিয়ে। এটি প্রাথমিক শিক্ষার জন্য ভালো দিক। এখন আর বাবা-মা গ্রামের স্কুলের শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারবে না।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ১৯ হাজার ১১৪ জন ছাত্রের মধ্যে পাস করেছে ১৮ হাজার ৭১৩ জন এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ১৩৯ জন। ২৪ হাজার ৯২৯ জন ছাত্রীর মধ্যে পাস করেছে ২৪ হাজার ৪০৪ জন এবং জিপিএ- ৫ পেয়েছে ১ হাজার ৩১৭ জন ছাত্রী।

কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলায় মোট পিইসি পরীক্ষার্থী ছিল ৪ হাজার ১৬৭ জন।  

এদিকে, ১ হাজার ৮১৯ জন ছাত্রের মধ্যে পাস করেছে ১ হাজার ৮০৭ জন এবং ২ হাজার ৩৮৪ জন ছাত্রীর মধ্যে পাস করেছে ২ হাজার ৩৮০ জন। এদের মধ্যে ৭১ জন ছাত্র এবং ৯৩ জন ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছে।

পাসের হারে টেকনাফ উপজেলার অবস্থান দ্বিতীয়। ১ হাজার ৯২৪ জন ছাত্রের মধ্যে পাস করেছে ১ হাজার ৯০৯ জন। ২ হাজার ৩০৫ জন ছাত্রীর মধ্যে পাস করেছে ২ হাজার ২৯০ জন। এদের মধ্যে ৯৩ জন ছাত্র এবং ৭৮ জন ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছে।

তৃতীয় স্থানে রয়েছে মহেশখালী উপজেলা। চতুর্থ হয়েছে উখিয়া, পঞ্চম কক্সবাজার সদর উপজেলা, ষষ্ঠ চকরিয়া, সপ্তম রামু উপজেলা, অষ্টম হয়েছে কুতুবদিয়া।

ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এবার ইবতেদায়ি পরীক্ষায় ১০ হাজার ৮৫৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে পাস করেছে ১০ হাজার ৪৬১ জন। এরমধ্যে ছাত্র ৪ হাজার ৭৪ জন এবং ৬ হাজার ৩৮৭ জন ছাত্রী। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২২৪ জন।  

ইবতেদায়িতে পাসের হারে শীর্ষে রয়েছে চকরিয়া উপজেলা। দ্বিতীয় কক্সবাজার সদর, তৃতীয় পেকুয়া, চতুর্থ কুতুবদিয়া, রামু, ষষ্ঠ উখিয়া, সপ্তম মহেশখালী এবং অষ্টম টেকনাফ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৭
আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।