সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে সড়কটির এমন চিত্র চোখে পড়ে। খানাখন্দ আর ইট-সুরকির টুকরায় অতিষ্ট গাড়ির চালকেরা।
রামপুরার বনশ্রী আবাসিক এলাকার বাসিন্দাদের যাতায়াত করতে হয় এ পথেই। বনশ্রী আইডিয়াল স্কুলের শিক্ষার্থীদের আসা-যাওয়ারও একমাত্র পথ এটি। ভোগান্তিতে নাভিশ্বাস উঠেছে এ পথের যাত্রীদের। সড়কটি আগে শুধু বনশ্রী আবাসিকের জন্য ব্যবহার হলেও এটি এখন সিলেট বিভাগের সব জেলা, নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জ যাওয়ার জন্যও ব্যবহার হচ্ছে।
রামপুরা ব্রিজ থেকে বনশ্রী, মেরাদিয়া, আমুলিয়া, ডেমরা হয়ে সুলতানা কামাল সেতু পার হয়ে গাড়ি চলে যাচ্ছে নরসিংদী, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়। তাই দিনে রাতে সব সময় এ সড়কটি দিয়ে চলছে শত শত যানবাহন। রাত দশটার পর যোগ হয় ভারী যানবাহন। বড় বড় ট্রাক আর লরি চলায় রামপুরা-মেরাদিয়া অংশের অন্তত চার কিলোমিটার সড়কের এই বেহাল দশা হয়ে পড়েছে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ২২ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক খান ক্ষোভের সঙ্গে বললেন, দেশে কোনো সরকার আছে বলে মনে হয় না। সরকার থাকলে একটা দেশের রাজধানীর একটি অভিজাত এলাকার সড়কের এমন দশা হতে পারে না। দেখেন কীভাবে চলছে গাড়ি। এটা কি সড়ক না অন্য কিছু!
রড সিমেন্টের ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বলেন, রামপুরা ব্রিজ থেকে মেরাদিয়া হাট পর্যন্ত সড়কের পাশে অন্তত তিন শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে গেছে। দুই বছর ধরে সড়কের এই অবস্থা। কোনো কাস্টমার এদিকে আসতে চায় না। তবে আশার খবর গত বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র ওসমান গনি সড়কের উন্নয়ন কাজ উদ্বোধন করেছেন। তিনি ওই দিন বলে গেছেন আগামী মার্চ মাসের মধ্যে সড়কের কাজ শেষ হবে। এখন আমরা অপেক্ষায় আছি।
মেরাদিয়ার বাসিন্দা জসিম উদ্দিন বলেন, এ সড়কে ভারী যানবাহন চলায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু রাতে বড় বড় লরি চলছে অনায়াসে। এতে সড়কটির বেহাল দশা হয়েছে। এই এলাকায় খুব কষ্টে বসবাস করছি আমরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৮
এমএইচ/এমজেএফ