সোমবার (১ জানুয়ারি) সকালে জেলার সব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এদিকে, বরিশাল নগরের ব্রাউন কম্পাউন্ডে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে স্বাস্থ্য সহকারীরা।
এ সময় স্বাস্থ্য সহকারী তরুণ দাস মুন্সি বলেন, টিকা দান (ইপিআই) কর্মসূচির মাধ্যমে মা ও শিশুর জীবন রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে মাঠ পর্যায়ে কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারীরা। ১৯৯৮ সালের ৬ ডিসেম্বর বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করেছিলেন স্বাস্থ্য সহকারীদের টেকনিক্যাল পদমর্যাদা ও বেতন স্কেল দেওয়া হবে। কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদফতর, অর্থ, জনপ্রশাসন ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত উচ্চপর্যায়ের একাধিক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুকূলে থাকা সত্ত্বেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। তাই আমরা প্রধানমন্ত্রীর সেই ঘোষণার বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন বরিশাল জেলা শাখার দফতর সম্পাদক বেল্লাল হোসেন বলেন, আমাদের চার দফা দাবির মধ্যে রয়েছে বেতন স্কেলসহ টেকনিক্যাল পদমর্যাদা, মূল বেতনের ৩০ শতাংশ মাঠ-ভ্রমণ ও ঝুঁকি ভাতা এবং প্রতি ছয় হাজার জনগোষ্ঠীর বিপরীতে একজন স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োগসহ ১০ শতাংশ পোষ্য কোটা দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্য সহকারীরা শিশু ও মাতৃ মৃত্যু হ্রাস, যক্ষ্মা, ধনুষ্টংকার, ডায়রিয়া, ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ, সংক্রামক ও অসংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ, অন্ধত্ব দুরীকরণের লক্ষ্যে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন সফল ও দায়িত্বশীলভাবে ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। কিন্তু দাবি মানা হয়নি। এর আগেও একটি আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছিল সে অনুযায়ী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে দাবি না মানার কারণে সারাদেশের ন্যায় বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার সব উপজেলার স্বাস্থ্য সহকারীরা টিকা দান (ইপিআই) কর্মসূচিসহ সব কার্যক্রম বন্ধ রেখে সকাল থেকে নিজ নিজ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অবস্থান করছে।
স্বাস্থ্য সহকারীদের দাবি মানা না হলে আগামীতে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও জানান আন্দোলনকারীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৮
এমএস/আরআইএস/