গত ১৩ নভেম্বর সকালে জুমপাড় এলাকায় সাত্তারের আরেকটি কোয়ারিতে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকালে মাটি চাপায় নিহত হন শম্পা দাস চম্পা (১৮) নামে এক শ্রমিক। আহন হন আরও তিনজন।
এ ঘটনায় কোয়ারি মালিক সাত্তারসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় মামলা হয়।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে ওই মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে গেলে সাত্তার, স্থানীয় পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আতাউর রহমান আতাইয়ের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান বিচারক।
পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান লেবু ও গোয়াইনঘাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হিল্লোল রায় বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এদিকে, আগের দুর্ঘটনার ৫০ দিনের মাথায় ফের ঘটলো একই মালিকের কোয়ারিতে দুর্ঘটনা। মঙ্গলবার বিকেলে জাফলং জুম মন্দির এলাকায় কোয়ারিতে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকালে প্রাণ হারান নুর মিয়াসহ চার শ্রমিক। দুর্ঘটনায় আহত তিনজনকে উদ্ধার করে পাঠানো হয় হাসপাতালে।
রাত ৯টা পর্যন্ত নিহত অন্য তিনজনের পরিচয় মেলেনি জানিয়ে হিল্লোল রায় বলেন, গত বছরের নভেম্বরে শম্পা দাস নিহতের মামলায় মঙ্গলবার জামিন নিতে গেলে সাত্তারকে কারাগারে পাঠান আদালতের বিচারক।
মঙ্গলবারের দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে নূর মিয়ার (৪০) পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার মীরপুর গ্রামের মফিজ মিয়ার ছেলে। এছাড়া আহতাবস্থায় উদ্ধার করা হয় সাদেক মিয়া, হেলাল মিয়া ও মিজানুর রহমান। ওই কোয়ারিতে ৮/১০ জন শ্রমিক পাথর উত্তোলনরত ছিলেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এ ঘটনায় কোয়ারি মালিকের বিরুদ্ধে ফের আরেকটি হত্যা মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিদর্শক (তদন্ত) হিল্লোল রায়।
**জাফলং পাথর কোয়ারিতে ধস, ৪ শ্রমিক নিহত
বাংলাদেশ সময়: ১০১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৮
এনইউ/আরআর