ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

চতুর্থ দিনের মতো অনশনে নন-এমপিও শিক্ষকরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০১৮
চতুর্থ দিনের মতো অনশনে নন-এমপিও শিক্ষকরা নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করেন বিশিষ্ট কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসের পরও নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের এমপিওভূক্তির দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো ‘আমরণ অনশন’ কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে।

আমরণ অনশন কর্মসূচিতে এখন পর্যন্ত ৩৯ শিক্ষক কর্মচারী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢাকমে) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলেও জানা যায়।

বুধবার (৩ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের আয়োজনে এ ‘আমরণ অনশন’ কর্মসূচি চলছে।

অনশন কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে বিশিষ্ট কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, দেশ থেকে হাজার হাজার টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু সরকার অল্প কিছু টাকার জন্য শিক্ষকদের দাবি মানছেন না। শিক্ষকরা হচ্ছে জাতি গড়ার কারিগর। তারা কেনো এই শীতে রাস্তায় কষ্ট করবেন। মাত্র ১ হাজার ৮০ কোটি টাকা হলে তাদের দাবি পূরণ হয়ে যাবে। যে জায়গায় আমাদের অর্থমন্ত্রীর কাছে ৪ হাজার কোটি টাকা কোনো টাকাই না, তাহলে এই অল্প টাকার জন্য সরকার তাদের দাবি কেনো মানছেন না।

তিনি বলেন, শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষদের অনশন থেকে উঠানোর জন্য মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে গেছেন। আশ্বাস নয় শিক্ষকদের লিখিত বক্তব্য দিতে হবে শিক্ষামন্ত্রীকে।

সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, যাদের থাকার কথা শ্রেণি কক্ষে, তারা রাস্তায় পড়ে আছে। এটা জাতির জন্য অত্যন্ত লজ্জার। সরকার বারবার তাদের আশ্বাস দিয়েছে, কিন্তু সেই আশ্বাসের কোনো বাস্তাবায়ন করতে পারিনি।

কর্মসূচিতে আয়োজক সংগঠনের শিক্ষক নেতারা বলেন, সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না আসা পর্যন্ত আমরা অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাবো। এখন পর্যন্ত আমাদের অর্ধশত শিক্ষক অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের কিছু হলে এর দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।

দাবি আদায়ে সরকারের পদক্ষেপ না থাকায় গত ২৮ ডিসেম্বর থেকে আমরণ অনশন শুরু করেন শিক্ষকরা।  

এরআগে মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দকে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ নন-এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের এমপিভুক্ত করার আশ্বাস দেন। এ সময় দাবি মেনে নিয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী। কিন্তু শিক্ষকরা ‘না’ ‘না’ স্লোগানে তা প্রত্যাখ্যান করেন।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষকরা বলেন, ‘এর আগেও একাধিকবার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিলো। নীতিমালার কথা বলে আমাদের রাজপথ ছাড়া করেছেন। এ সব নীতিমালায় আমরা বিশ্বাসী নয়। আমরাও অনেকবার নীতিমালা দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে থেকে সুস্পষ্ট ঘোষণা না আসা পর্যন্ত তারা বাড়ি ফিরে যাবেন না। এ বিষয়ে তারা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা’।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৮
এমএসি/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।