শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) দুপুর ২টায় ওই ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের আশিক ব্রিকফিল্ড থেকে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য শহরের ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত দেলোয়ার ইউনিয়নের গোপালনগর গ্রামের মৃত আলম মিয়ার ছেলে। তার দুই মেয়ে ও স্ত্রী আছে। তিনি ইটখোলার ট্রলার চালক ছিলেন বলেও জানা যায়।
নিহত শ্রমিকের ছোট ভাই জসিম উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) রাতে স্থানীয় পুলিশ সোর্স আলমগীর হোসেন ও সফি তার বড় ভাই দেলোয়ারকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরদিন বেলা ১২টায় স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে খবর পেয়ে আশিক ব্রিকফিল্ডে এসে মরদেহ শনাক্ত করি।
ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফজলুল হক বাংলানিউজকে বলেন, নিহত ব্যক্তির শরীরে একাধিক ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। মরদেহ পাশে ইয়াবা সেবনের সরঞ্জাম পাওয়া গেছে।
ইটভাটার মালিক অলিউল্লাহ, কর্মকর্তা ও শ্রমিকদের কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে হত্যার রহস্য উদঘাটনে তদন্ত চলছে বলেও জানান তিনি।
আশিক ব্রিকফিল্ড এর মালিক অলিউল্লাহ মোবাইল ফোনে বাংলানিউজকে জনান, হত্যাকাণ্ড কিভাবে হয়েছে তা তিনি জানেন না। ভয়ে তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন। হয়রানির আতঙ্কে তার প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী ও শ্রমিকরা পালিয়ে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১৭
জিপি