ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

৮ম দিনের মতো চলছে খুলনার পাটকল শ্রমিকদের কর্মবিরতি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০১৮
৮ম দিনের মতো চলছে খুলনার পাটকল শ্রমিকদের কর্মবিরতি খুলনার পাটকল শ্রমিকদের কর্মবিরতি চলছে-ছবি-বাংলানিউজ

খুলনা: খুলনার পাটকল শ্রমিকদের টানা আট কার্যদিবসের কর্মবিরতি চলছে। এতে পাটকলের অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। বকেয়া মজুরির দাবিতে খুলনাঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ব ৮টি পাটকলের শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করছেন।

গত ২৮ ডিসেম্বর থেকে এ কর্মবিরতি শুরু করেন শ্রমিকরা। একে একে উৎপাদন বন্ধ হয় ক্রিসেন্ট, প্লাটিনাম, ক্রিসেন্ট, দৌলতপুর, স্টার, ইস্টার্ন, জেজেআই ও খালিশপুর জুট মিলের।

 

শনিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে খুলনাঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকলের শ্রমিকরা স্ব স্ব মিল গেটের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন। এসব সমাবেশে শ্রমিক নেতা জাফর আহমেদ, পান্নু মিয়াসহ সিবিএ, নন-সিবিএ নেতারা বক্তব্য দেন।  

তারা জানান, মজুরি না পেয়ে অভুক্ত অবস্থায় উৎপাদন অব্যাহত রাখা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। বকেয়া মজুরি না পাওয়া পর্যন্ত তারা কাজে ফিরে যাবেন না।

বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশনের (বিজেএমসি) খুলনা আঞ্চলিক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রায়ত্ব ক্রিসেন্ট, প্লাটিনাম, খালিশপুর, দৌলতপুর, স্টার, ইস্টার্ন, আলিম ও যশোরের জে জে আই জুট মিল চালু থাকলে প্রতিদিন প্রায় ২২৫ মেট্রিক টন পাটজাত পণ্য উৎপাদন হতো। সেই হিসেবে গত ৬ দিনে ১ হাজার ৩৫০ মেট্রিক টন পাটজাত পণ্য উৎপাদন বিঘ্নিত হয়েছে। যার মূল্য প্রায় সাড়ে ১৩ কোটি টাকা।

শ্রমিকদের জন্য রান্না করা হচ্ছে-ছবি-বাংলানিউজসূত্রটি জানায়, ৮টি পাটকলের ২৬ হাজার ৭১৮ জন শ্রমিকের ৪ থেকে ১২ সপ্তাহের মজুরি বকেয়া রয়েছে। সবমিলিয়ে শ্রমিকদের পাওনার পরিমাণ ৪০ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। ৯টি পাটকলে বর্তমানে ২১ হাজার ৪৭৪ মেট্রিক টন পাটজাত পণ্য বিক্রির অপেক্ষায় পড়ে রয়েছে। যার মূল্য প্রায় ২১৫ কোটি টাকা।

অনাহারী শ্রমিক পরিবারের সদস্যদের খাবারের ব্যবস্থা করতে প্লাটিনাম জুট মিল গেটে স্থানীয়দের সহায়তায় নোঙ্গরখানা চালু করেছে শ্রমিক নেতারা।

আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানান, বিজেএমসির সব পাটকলের শ্রমিক নেতারা কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে যোগদান করতে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।

 **খুলনায় অভুক্ত পাটকল শ্রমিকদের হাহাকার!
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০১৮
এমআর/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।