ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সংবিধান অনুযায়ী হবে ‘‌নির্বাচনকালীন সরকার’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৮
সংবিধান অনুযায়ী হবে ‘‌নির্বাচনকালীন সরকার’ প্রধানমন্ত্রীর জাতির উদ্দেশে ভাষণ

ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

বর্তমান সরকারের চার বছর পূর্তিতে শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে এ কথা জানান তিনি।

সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হলে বিএনপিসহ সংসদের বাইরে থাকা দলগুলোও সেই সরকারে থাকার সুযোগ পাবে না।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বয়কটকারী বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের দলগুলো নির্বাচনকালীন সরকারে থাকতে সেরকম একটা সহায়ক সরকারের দাবি করে আসছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সংবিধান অনুযায়ী ২০১৮ সালের শেষদিকে একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কীভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে তা আমাদের সংবিধানে স্পষ্টভাবে বলা আছে।

‘সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের আগে নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হবে। সেই সরকার সর্বোতভাবে নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচন পরিচালনায় সহায়তা দিয়ে যাবে। ’

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব নিবন্ধিত দল অংশগ্রহণ করবে আশা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আশা করি নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত সব দল আগামী সাধারণ নির্বাচনে অংশ নেবে এবং দেশের গণতান্ত্রিক ধারাকে সমুন্নত রাখতে সহায়তা করবে।

‘নির্বাচন বয়কট করে আন্দোলনের নামে জনগণের জানমালের ক্ষতি করবেন- এটা আর এদেশের জনগণ মেনে নিবেন না। ’

আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কোনো কোনো মহল আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টা করতে পারে।  আপনাদের এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। জনগণ অশান্তি চান না। ’

নির্বাচন কমিশন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি অনুসন্ধান কমিটির মাধ্যমে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। এই কমিশন ইতোমধ্যে ২টি সিটি করপোরেশন নির্বাচনসহ স্থানীয় পর্যায়ের বেশ কিছু নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জন করেছে।

উন্নয়নের অগ্রযাত্রা যেন ব্যহত না হয় সে বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। আগামী প্রজন্ম পাবে সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা যেন ব্যহত না হয়, এ বিষয়ে সচেতন হয়ে দেশবাসীকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাবার আহ্বান জানাচ্ছি।

জনগণের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, আপনারাই সব ক্ষমতার মালিক। কাজেই লক্ষ্য আপনাদেরই ঠিক করতে হবে- আপনারা কী চান! আপনারা কি দেশকে সামনে এগিয়ে যাওয়া দেখতে চান, না বাংলাদেশ আবার পেছনের দিকে চলুক, তাই দেখতে চান। একবার ভাবুন তো, মাত্র ১০ বছর আগে দেশের অবস্থানটা কোথায় ছিল?
 
‘আপনারা কি চান না আপনার সন্তান সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে সাবলম্বী হোক? আপনারা কি চান না প্রতিটি ঘরে বিদ্যুতের আলো পৌঁছে যাক! আপনারা কি চান না প্রতিটি গ্রামের রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হোক! মানুষ দু’বেলা পেট পুরে খেতে পাক! শান্তিতে জীবনযাপন করুক! ’
 
তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৪৭ বছর অতিক্রান্ত হতে চলেছে। আমরা আর দরিদ্র হিসেবে পরিচিত হতে চাই না। আমরা বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে বাঁচতে চাই। এসব যদি আপনাদের চাওয়া হয়, তাহলে আমরা সব সময়ই আপনাদের পাশে আছি।

‘কারণ, আমরাই লক্ষ্য স্থির করেছি যে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠিত করব। শুধু লক্ষ্য স্থির করেই কিন্তু আমরা বসে নেই। সেই লক্ষ্য পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় কর্মসূচি প্রণয়ন করে সেগুলো বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। ’

দলমত নির্বিশেষে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী প্রজন্মের জন্য একটি উন্নত, সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
**সফলতা-ব্যর্থতা বিচারের ভার দেশবাসীর
**করুণার পাত্র থেকে উন্নয়নের রোল মডেল
**জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশ সময়: ২০২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৭
এমইউএম/এসকে/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।