শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের সামনে নাগরিক সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়। যশোর রোডের গাছ রক্ষায় নাগরিদের ব্যানারে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
যশোরের রাজনৈতিক কর্মী আবু নাসর অনিক বলেন, যশোর রোডের গাছগুলো ইতিহাসের অংশ। আমরা কোনো উন্নয়নের বিরোধিতা করছি না। কিন্তু প্রকৃতি ধ্বংস করে কোন ধরনের উন্নয়ন চাই না। গাছগুলো কেটে লুটপাট করতে প্রশাসন উদগ্রীব হয়ে আছেন। হাইকোর্ট গাছ কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে সরকারের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে। কিন্তু এটি সমাধান নয়, গাছ কাটার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণরূপে বাতিল করতে হবে।
গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী বলেন, যশোর রোডের গাছগুলো মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বহন করে। সরকারের এ ধরনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলতে হবে। গাছ কাটার মধ্য দিয়ে লুটপাট করা হবে বলে অভিযোগ তুলেন তিনি।
ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, গাছ কাটা নিয়ে মামলা হয়েছে দেখে আমরা ঘুমাতে চাই না। আমরা গাছ কাটার বিপক্ষে। নাগরিকরা যেসব বিষয় নিয়ে প্রতিবাদ করে তা কেন আমলে নেওয়া হয় না। সব বিষয় নিয়ে হাইকোর্ট থেকে কেন বলতে হবে। এ অপচর্চা কেন?
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক ফারুখ ওয়াসিফ, কবি কফিল আহমেদ, ছাত্র ফফেডারেশনের সহ সাধারণ সম্পাদক কাকন বিশ্বাস, বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রী সভাপতি ইকবাল কবির প্রমুখ।
নাগরিক সমাবেশে প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংস করে উন্নয়ন চাই না, মরুকরণ রোধে যশোর রোডের গাছগুলো রক্ষা করুন, গাছ কাটার সিদ্ধান্ত একটি আস্ত বন ধ্বংস করার সমানসহ বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৮
এসকেবি/ওএইচ/