ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মাগুরায় দাফনের ৯ মাস পর কিশোরীর মরদেহ উত্তোলন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৮
মাগুরায় দাফনের ৯ মাস পর কিশোরীর মরদেহ উত্তোলন

মাগুরা: আত্মহত্যা নয়, বরং ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে মায়ের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে আদালতের নির্দেশে দাফনের নয় মাস পর কবর থেকে এক কিশোরীর মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।

এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট খোরশেদ আলম চৌধুরীর উপস্থিতিতে বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে মাগুরা পৌর কবরস্থান থেকে ওই কিশোরীর মরদেহ উত্তোলন করা হয়।

মাগুরা শহরের কাউন্সিল পাড়ার বাসিন্দা ইকবাল হোসেনের মেয়ে তাসনিম কলি (১৬) নামে ওই কিশোরী মাগুরা দুধ মল্লিক বালিকা বিদ্যালয় থেকে ২০১৭ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল।

২০১৭ সালের ৩ এপ্রিল ঘরের আ‍ঁড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করে তার পরিবার।

সদর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, পরিবার ও এলাকাবাসীর সংবাদের ভিত্তিতে গত বছরের তিন এপ্রিল শহরের কাউন্সিল পাড়ার ভাড়া বাসা থেকে
গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাসনিম কলির (১৬) মরদেহ উদ্ধার
করে পুলিশ। মা-বাবার আবেদনের প্রেক্ষিতে সে সময় ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করা হয়। কিন্তু সম্প্রতি ওই কিশোরীর মা হোসনে আরা বেগম তার মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে মাগুরা সদর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চারজনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন। এ মামলার প্রেক্ষিতে আদালত ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে মরদেহ উত্তোলনের আদেশ দেন। এ আদেশের প্রেক্ষিতে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট খোরশেদ আলম চৌধুরীর উপস্থিতিতে বুধবার দুপুরে মাগুরা পৌর কবরস্থান থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়।

ওই কিশোরীর মা হোসনে আরা বেগমের অভিযোগ, তিনি অন্যের বাসা বাড়িতে কাজ করেন। স্বামী অটোরিকশা চালক। ঘটনার সময় তার মেয়ে কলি বাসায় একা ছিল। তিনি কাজ সেরে বাসায় গিয়ে লাশ দেখে কিছু বুঝে ওঠার আগেই একটি চক্র মেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার চালিয়ে তড়িঘড়ি করে তাকে দিয়ে কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন সম্পন্ন করে। ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া থাকলেও উদ্ধারের সময় দেখা গেছে চেয়ারের উপর বসা অবস্থায় তার মেয়ের লাশ ছিল।

ভাড়া বাসার মালিকের কেয়ারটেকার আজাদ ও সবুজ
নামে অপর এক যুবক তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে এবং এ কাজে তাদের সহযোগিতা করেছে প্রতিবেশী বিউটি ও সুফিয়া নামে দুই নারী। যে কারণে তিনি কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে আদালতে মামলা করেছেন।

মাগুরা জেলা প্রশাসকের কার্য‍ালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট খোরশেদ আলম চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য আদালতের নির্দেশে তাসনিম কলির মরদেহ উত্তোলন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, ২৪ জানুয়ারি, ২০১৮
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।