ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কারা আমাদের বন্ধু, কারা শত্রু তা চিনতে হবে

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৮
কারা আমাদের বন্ধু, কারা শত্রু তা চিনতে হবে বক্তব্য রাখছেন তুরিন আফরোজ/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: কারা আমাদের বন্ধু, কারা আমাদের শত্রু তা চিনতে, জানতে হবে। কার সঙ্গে পথ চলবো, কার সঙ্গে চলবো না তা বুঝতে হবে।

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি অভিজাত কমিউনিটি সেন্টারে কালান্তর ফাউন্ডেশনের ৪ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে একথা বলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ।

'নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস' স্লোগান সামনে রেখে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

তুরিন বলেন, আমার-আপনার করের টাকায় সুবিধা নিচ্ছেন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা। তাতে প্রকৃত মুক্তুযোদ্ধারা বঞ্চিত হচ্ছে।  

একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনী ও তার দোসরদের চালানো নারকীয় হত্যাযজ্ঞের কয়েকটি ঘটনার বর্ণনা করে তিনি বলেন, এসব ঘটনার জন্য কারা দায়ী তা আমাদের জানতে হবে। যারা জামায়াতকে রাজনৈতিক মদদ দেয় তারা আমাদের শত্রু।  

এসময় তিনি জামায়াত-শিবিরের রাজনৈতিক মদদদাতা হিসেবে বিএনপিকে উল্লেখ করে বলেন, বিএনপি তার স্বাতন্ত্র্যবোধ হারিয়েছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এই প্রসিকিউটর বলেন, ২০০৪ সালে  তারেক রহমান শিবিরের সম্মেলনে বললেন, শিবির ও ছাত্রদল এক মায়ের পেটের দুই ভাই। কিন্তু সেই মাকে তা আমরা জানলাম না। ২০০৭ সালে যুদ্ধাপরাধের দায়ে দণ্ডিত কাদের মোল্লা এক সাক্ষাৎকারে বললেন, যারা মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছে তারা হয় ভারতের দালালি করতে গিয়েছে, নয়তো নারীর সম্ভ্রম লুট করতে গেছে।  তাহলে কী বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান নারীর সম্ভ্রম লুট করতে গিয়েছিলেন, নাকি ভারতের দালালি করতে গিয়েছিল তা প্রশ্ন থেকে যায়।

তিনি বলেন, যতোবারই ট্রাইব্যুনালের রায় হয়েছে ততোবারই জামায়াত হরতাল ডেকেছে। আর সেই হরতালে নৈতিক সমর্থন দিয়েছে বিএনপি। এর থেকে মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে তাদের অবস্থান বোঝা যায়।

এ প্রসঙ্গ অবতারণা করে তিনি বলেন, বিএনপি নেতা মঈন খান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে দেশকে ভাগ করা হয়েছে। হ্যাঁ, ভাগ হয়েছে। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চেই একটি দেয়াল উঠে গেছে। আপনি হয় দেয়ালের এপারে থাকবেন, না হয় দেয়ালের ওপারে থাকবেন। দেয়ালের এপারে থাকলে আপনাকে পতাকা বিশ্বাস করতে হবে। মানচিত্র বিশ্বাস করতে হবে। দেশ, স্বাধীনতা বিশ্বাস করতে হবে। আর বিশ্বাস না করলে ওপারে চলে যান।  

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কেরামত আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিশ্বজিৎ ঘোষ প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন সাবেক তথ্য সচিব সমর চন্দ্র পাল।

বাংলাদেশ সময়: ০০০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৮
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।