ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বিদেশে অর্থপাচারের দাবি তথ্যভিত্তিক নয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৮
বিদেশে অর্থপাচারের দাবি তথ্যভিত্তিক নয়

সংসদ ভবন থেকে: বাংলাদেশ থেকে প্রচুর অর্থ বিদেশে পাচার হচ্ছে, এমন দাবি তথ্যভিত্তিক নয় বলে সংসদে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগ দলীয় সংরক্ষিত সংসদ সদস্য ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির প্রশ্নের জবাবে এতথ্য জানান অর্থমন্ত্রী।

অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশ থেকে অর্থ পাচারের মাত্রা যাই হোক না কেন, পাচারের সম্ভাব্য উৎস্যগুলো বন্ধ করার বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহ একযোগে কাজ করে যাচ্ছে।

পাশাপাশি দুর্নীতি বা অন্য কোন অপরাধ থেকে অর্জিত অর্থ নিয়ম বহির্ভূতভাবে বিদেশে পাচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সরকার সক্রিয় রয়েছে।

মুহিত জানান, বাংলাদেশ থেকে অর্থ বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে মর্মে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকে যে দাবি করা হচ্ছে তা তথ্যভিত্তিক নয়। উপরোন্তু পাচারের এ ধরনের প্রাক্কলন গত কয়েক বছরে দেশের বাজারে বৈদেশিক মুদ্রার বিদ্যমান তারল্য বাস্তবতার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। এরইমধ্যে বিদেশে অর্থপাচারের শনাক্ত হওয়া ঘটনাগুলোয় অর্থ পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট বিদেশে তাদের কাউন্টার পার্টদের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতার লক্ষ্যে ক্রমবর্ধমান মাত্রায় যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করছে। সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, হংকং ও কানাডায় ফ্ল্যাট বা বাড়ি অথবা অন্য কোন পদ্ধতিতে অর্থপাচার বিষয়ক বেশকিছু মামলা বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন ও দুদকের তদন্তাধীন রয়েছে।

সিলেট-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম উদ্দিনের অপর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থ মন্ত্রী বলেন, ফারমার্স ব্যাংকে বর্তমানে তারল্য সঙ্কট বিদ্যমান থাকার ফলে গ্রাহকদের আমানত ফেরত দিতে পারছে না। ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরুর পর থেকে রেগুলেটরি ও প্রুডেনশিয়াল নিয়ম কানুন পরিপালনে অনীহা এবং পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা পর্যায়ে বিভিন্ন অনিয়মের কারণে ব্যাংকটির আর্থিক ভিত্তি ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে থাকে। এ বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কতৃক বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হলেও সার্বিক অবস্থার উন্নতি না হয়ে ক্রমাবনতি বিদ্যমান থাকে। ইতোমধ্যে ব্যাংকটির দুর্বল আর্থিক অবস্থা বিভিন্নভাবে প্রকাশিত হয়ে পড়লে আমানতকারীরা ব্যাংক থেকে আমানত উঠিয়ে নিতে থাকে এবং তারল্য সঙ্কটের সৃষ্টি হয়। ফারমার্স ব্যাংকের তারল্য সঙ্কটজনিত সমস্যা মোকাবেলার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করে ব্যাংকটির তারল্য সঙ্কট নিরসনে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত রেখেছে।

তিনি আরও জানান, এরইমধ্যে ব্যাংকটির অভ্যন্তরীন শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে। ব্যবস্থাপনা পরিচালক অপসারণ করে নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিযোগের অনুমোদন প্রদান করা হয়েছে। ওই ব্যাংকে বিভিন্ন ফান্ড ও প্রতিষ্ঠান কতৃক পর্যায়ক্রমিক বিনিয়োগের মাধ্যমে ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ৪০০ কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকায় উন্নীত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক হতে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৮
এসএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।