বৃহস্পতিবার (০১ নভেম্বর) দুপুরে কিশোরগঞ্জের ২নং জিআর আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইকবাল মাহমুদ তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
ভৈরব রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মজিদ বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
>>>আরো পড়ুন...জেলার সোহেল কারাগারে, রিমান্ড শুনানি সোমবার
সোমবার (২৯ অক্টোবর) জেলার সোহেল রানা বিশ্বাসকে মাদক মামলায় দুই দিনের রিমান্ড দেন আদালতের বিচারক।
আদালতের একাধিক সূত্রে জানা যায়, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভৈরব রেলওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সুরুজ্জামান সরকারের কাছে গ্রেফতারকৃত সোহেল রানা বিশ্বাস অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। তিনি নিজে মাদক সেবন ও কারারক্ষীদের মাধ্যমে কারাভ্যন্তরে মাদক বিক্রি করতেন বলে স্বীকার করেছেন।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের ঠিকাদার অজয় নন্দী ও জনৈক নাছিরের মাধ্যমে সবজিসহ অন্যান্য মালামালের মধ্যে গাঁজা, ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদক ঢুকিয়ে জেলের অভ্যন্তরে প্রবেশ করাতেন। পরে মাদকাসক্ত কয়েদিদের কাছে বিক্রি করতেন। এসব অবৈধ ব্যবসা থেকে উপার্জিত অর্থ চট্টগ্রাম অঞ্চলের ডিআইজি (প্রিজন) ও সিনিয়র জেল সুপারের মধ্যে ভাগ হতো। তাছাড়া জেলের ক্যান্টিন থেকেও মোটা অংকের টাকা আয় হতো বলে স্বীকার করেন সোহেল রানা বিশ্বাস।
এছাড়াও দেশের বিভিন্ন ব্যাংকে তার নিজের নামে এবং স্ত্রী ও আত্মীয়স্বজনের নামে অনেক অ্যাকাউন্ট রয়েছে বলে তদন্তকারী কর্মকর্তার জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেন।
গত ২৬ অক্টোবর দুপুরে ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনে অভিযান চালিয়ে জেলার সোহেল রানা বিশ্বাসকে আটক করে রেলওয়ে থানা পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে ১২ বোতল ফেনসিডিল, নগদ ৪৪ লাখ ৪৩ হাজার টাকা, বিভিন্ন ব্যাংকের এক কোটি ৩০ লাখ টাকার তিনটি চেক এবং স্ত্রী হোসনে আরা পপি, শ্যালক রকিবুল হাসান ও তার নিজের নামে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকার এফডিআর উদ্ধার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৮
এনটি