বৃহস্পতিবার (০১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির (ডুজা) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন বাংলাদেশ ছাত্র পরিষদের নেতারা।
শুক্রবার (০২ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ছাত্র পরিষদ ও জনতা মঞ্চের বিক্ষোভ সমাবেশ এবং শনিবার (০৩ নভেম্বর) সকাল ১০টায় শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচির ঘোষণা আসে তাদের কাছ থেকে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম সেলিম।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- ছাত্র পরিষদের সভাপতি আল আমিন রাজু, সিনিয়র সহ সভাপতি ইউছুব ইলিয়াস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোবারক ফাতেমা মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক শেহজাদ আমান প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে চাকরির বয়সসীমা ৩০ থেকে ৩৫ করার যৌক্তিকতাগুলো তুলে ধরা হয়। যুক্তিগুলো হলো- ১. প্রাথমিক পর্যায়ে ভর্তি হওয়ার ন্যূনতম বয়স ছয়বছর করা হয়েছে। ফলে আগে যেখানে একজন ছাত্র চার থেকে পাঁচ বছরে প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি হয়ে ১৪ থেকে ১৫ বছরে এসএসসি পাস করতে পারতো, এখন সেটা ১৬ বছরের আগে কোনোক্রমেই সম্ভব নয়।
২. স্নাতক ও সম্মান উভয় ক্ষেত্রে লেখাপড়ার সময় এক বছর করে বাড়িয়ে যথাক্রমে তিন ও চার বছর করা হয়েছে।
৩. ডাক্তারদের চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ করা হয়েছে, কারণ তাদের সাধারণের চেয়ে এক বছর বেশি অর্থাৎ চার বছর অধ্যায়ন করতে হয়। পরবর্তীতে সাধারণদের স্নাতক ও সম্মান উভয় পর্যায়ে সময় এক বছর বৃদ্ধি করা হলেও চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা আনুপাতিক হারে বাড়ানো হয়নি
৪. এসএসসি, এইচএসসি, অনার্স এবং ডিগ্রি ও মাস্টার্সের রেজাল্ট বের হওয়ার মধ্যবর্তী সময় নষ্ট হয় সব মিলিয়ে প্রায় দুই বছর।
৫. প্রচলিত নিয়মানুসারে ২৩ বছর বয়সে শিক্ষা জীবন শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সমীকরণটি শুধু কাগজে কলমের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
৬. যথাসময়ে লেখাপড়া শেষ করতে না পারার অন্যতম কারণ দুই থেকে তিন বছর সেশনজট।
৭. রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্য প্রতিটি ছাত্রের জীবন থেকে যে সময় নষ্ট হচ্ছে তার ক্ষতিপূরণ করতে।
৮. বিপিএসসি’র যথাসময়ে পরীক্ষা নিতে না পারা (২৭ থেকে ২৮ তম বিসিএস পরীক্ষার গ্যাপ ছিল তিনবছর)।
৯. সরকারি চাকরি থেকে অবসরের মেয়াদ দুই বছর বৃদ্ধি করা হয়েছে, তবে এটা কেনো নয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৮
এসকেবি/টিএ