বৃহস্পতিবার (০১ নভেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ূন কবিরের আদালতে পরকীয়া প্রেমিক আশরাফুল ইসলাম (৩৬) এ জবানবন্দি দেন।
আশরাফুল লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী থানার মহিষখোচা এলাকার মৃত সোলায়মান আলীর ছেলে।
এরআগে ২৫ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বিকেল ৩টায় মধ্য সানারপাড় এলাকার মো. খলিল মিয়ার ভাড়াটিয়া বাসা থেকে লায়লার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
আদালতে আশরাফুল জানায়, তাদের দুই বছরের সম্পর্ক। লায়লা বিবাহিত, তবে তার কোনো সন্তান হয়নি। সন্তানের আশায় সে আশরাফুলের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান। বিষয়টি আশরাফুলকে জানানোর পর ওইদিনেই ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ (গলাটিপে) করে তাকে হত্যা করে আশরাফুল।
এর আগে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ৩নম্বর টিমের পরিদর্শক গিয়াসউদ্দিন খানের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের একটি দল তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় সিদ্ধিরগঞ্জের সীমান্তবর্তী ডেমরা থানার সারুলিয়া এলাকা থেকে আশরাফুল গ্রেফতার করে। পরে তিনদিনের রিমান্ডে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আদালতে জবানবন্দি দেয়।
ডিবির ৩ নম্বর টিমের পরিদর্শক গিয়াসউদ্দিন খান জানান, নিহতের স্বামী শাহীনও ডিবির রিমান্ডে রয়েছেন। তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০১৮
ওএইচ/