ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নির্বাচনে যুব সমাজের মতামত খুবই গুরুত্বপূর্ণ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০১৮
নির্বাচনে যুব সমাজের মতামত খুবই গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ সম্মেলন। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: দেশে বর্তমানে মোট ভোটারের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ (প্রায় সাড়ে তিন কোটি) যুব সমাজের অন্তর্গত। এর মধ্যে প্রায় দুই কোটি নতুন ভোটার রয়েছে। আগামী নির্বাচনে যুব সমাজের মতামত তাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এক্ষেত্রে যুব সমাজের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ নিশ্চিত করার পাশাপাশি তাদের মতামত গ্রহণ করা নির্বাচনের জন্য ফলপ্রসূ হবে।

সোমবার (৫ নভেম্বর) ঢাকায় সিডাপ মিলনায়তনে ‘এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশ’র আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

গত ১৪ অক্টোবর রাজধানীতে অনুষ্ঠিত ‘যুব সম্মেলন ২০১৮: বাংলাদেশ ও এজেন্ডা ২০৩০ তারুণ্যের প্রত্যাশা’ শীর্ষক জাতীয় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সংগঠনটি।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ ও পরিবেশবান্ধব উন্নয়নের যে রূপকল্প নিয়ে এসডিজির বৈশ্বিক এজেন্ডার যাত্রা। সেখানে বাংলাদেশের প্রগতিশীল ও অগ্রাভিমুখী রূপান্তর একই সূত্রে গাঁথা। উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় কাউকে পেছনে রাখা যাবে না। এই প্রত্যয় অনুপ্রাণিত হয়ে এসডিজি’র বৈশ্বিক অভিষ্ট বাস্তবায়নে সারাবিশ্বেই আজ তরুণরা বহুমুখী আন্দোলনের মাধ্যমে সক্রিয়। বাংলাদেশের যুবসমাজ নিজেকে এ পরিবর্তনমুখী বৈশ্বিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে মনে করে।

এ সময় আসন্ন নির্বাচনে যুবসমাজকে সংযুক্ত করার দাবি জানিয়ে বলা হয়, নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজনৈতিক দলগুলোকে যুব সমাজের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে এবং তাদের মতামত বিবেচনায় নিতে হবে। যুব সমাজের দাবি এবং প্রাধিকারসমূহ নির্বাচনী ইশতেহারে যথাযথ গুরুত্ব দিতে হবে। নাগরিকের ভোটাধিকার নিশ্চিতে যুব সমাজ ভোট পর্যবেক্ষণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারে। নির্বাচনের পর নতুন সরকারের কর্মপরিকল্পনায় যুব সমাজের প্রত্যাশা ও প্রতিকারের প্রতিফলন থাকতে হবে। নতুন সরকারের বিভিন্ন নীতি ও যুব উন্নয়ন মূলক কর্মকাণ্ডের বাস্তবায়নে যুব সমাজের অংশগ্রহণ ও পরিবীক্ষণের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া যে কয়টি বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

সংগঠনটির আহ্বায়ক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে এতে আরো উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনটি ও পরিচালক ফাতেমা ইউসুফ, মানুষের জন্য ফেন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী শাহীন আনাম, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. রাশেদা কে চৌধুরীসহ প্রমুখ।

সম্প্রতি শেষ যুব সম্মেলন সম্পর্কে বক্তারা বলেন, সম্প্রতি শেষ হওয়া যুব সম্মেলনে আমরা অনেক প্রশ্নের জবাব দিতে পারিনি। যেমন কয়েকজন শিক্ষার্থী প্রশ্ন করেছিলেন, স্কুলে প্রথম শ্রেণি থেকে ১৪ বছর ইংরেজি পড়ার পরও কেন আমরা ইংরেজিতে একটি বাক্য বলতে পারি না। উচ্চশিক্ষা নিয়ে আমাদের লাভ কি? ঘুষ ও লবিং ছাড়া তো চাকরি সম্ভব না। শিক্ষাকার্যক্রমে শিক্ষার্থীদেরকে নিয়ে বিভিন্ন সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। অর্থাৎ তাদের মতামতের কোনো মূল্য নেই। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা হয় ভুক্তভোগী, না হয় সুবিধাভোগী।

এক্ষেত্রে বক্তারা রোববার (৪ নভেম্বর) রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হওয়া সম্মেলনের কারণে জেএসসি পরীক্ষা পেছানোকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন। এছাড়া নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আগামী দিনের কর্মকাণ্ড তুলে ধরেছেন বক্তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৮
এমএএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।