সোমবার (৫ নভেম্বর) সকালে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন- স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য আব্দুল মনাফ, সিটি করপোরেশনের ১১ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আব্দুস সালাম ও মনাফ গ্রুপের স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মী হাবিব।
সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সেলিম মিয়া আটকের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আটকদের মধ্যে হাবিবের দেখানো মতে খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত ছোরা উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। এছাড়া অন্য দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে।
রোববার (৪ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সংলগ্ন নবাব রোডের মোড়ে ফুলকুলির শো-রুমের সামনে সিএনজি অটোরিকশাচালক নয়নকে ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয়।
নয়ন নগরের কাজী জালালউদ্দিন এলাকার এফ-১০৯ বাসার আইন উদ্দিনের ছেলে। তিনি সিটি করপোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের শামীমাবাদ আবাসিক এলাকার একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, ঘটনার সময় নবাব রোডের মোড়ে গাড়িতে বসা ছিলেন নয়ন। স্বেচ্ছাসেবক লীগের মনাফ গ্রুপের কয়েকজন নেতা-কর্মী এসে তাকে জোর পূর্বক অন্যত্র নিয়ে যেতে চায়। কিন্তু তিনি রাজি না হওয়ায় দুর্বৃত্তরা তার উরুতে ছুরিকাঘাত করে রাস্তায় ফেলে রাখে। দুর্বৃত্তরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করার পরপরই আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সোমবার নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান ওসি মোহাম্মদ সেলিম মিয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৮
এনইউ/আরবি/