ছবুরার বসবাস লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চর জাঙ্গালিয়া গ্রামে।
২০ বছর আগে স্বামী মো. তসলিম দুই বছর বয়সী এক মেয়ে শিশুকেসহ তাকে ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়।
সোমবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে ছবুরার সঙ্গে কথা হয়, এ সময় জানা যায়, তার ভাগ্যবদলের গল্প।
ছবুরা বলেন, দুই বছরের মেয়ে রেখে তার স্বামী পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন। তখন তার জীবনে অন্ধকার নেমে আসে। কোলের শিশু নিয়ে অন্যের বাড়িতে কাজ করে জীবন চালাতে হয়েছে। এভাবে কেটেছে জীবনের ১৬ বছর। গত চার বছর আগে জমানো ৫ হাজার টাকা দিয়ে দু’টি দেশীয় জাতের ছাগল কিনেন। দু’টি ছাগল থেকে বেড়ে হয়েছে ২৯টি। চার বছরে বিক্রি করেছেন ২০টি ছাগল। মেয়ে বিয়ে দিতে দার-দেনা করেছেন তাও শোধ করেছেন ছাগল বিক্রির টাকায়। এখন তার সংসারে কোনও অভাব নেই। তাকে করতে হয় না অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ। বেশ সুখেই আছেন তিনি।
ছবুরা খাতুন তার বসতঘরে এক কক্ষে ছাগল পালন করেন। বাড়তি খরচ নেই, কাঁচা ঘাসের উপর ভরসা করে তার ছাগল পালন। প্রতিদিন তিনি নিজেই ছাগলগুলো নিয়ে মাঠে যান। নিজ হাতে যত্ন করে ঘাস খাওয়ান। কোনও ছাগল অসুস্থ হয়ে পড়লে পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নেন। পরম যত্নে খুব দ্রুত বড় হয়ে উঠে তার ছাগল। বিক্রিতেও ভালো দাম পান। এভাবেই বদলে যায় তার জীবন। কেটে যায় অভাব।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৮
এসআর/আরবি/