সোমবার (৫ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ১০৩ নম্বর রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
জাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থী ঐক্যমঞ্চ ও গণবিশ্ববিদ্যালয় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
লিখিত বক্তব্যে ঐক্যমঞ্চের মুখপাত্র সহযোগী অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, গত ২৬ অক্টোবর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে কটন টেক্সটাইল ক্র্যাফট লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যানার ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় ধারালো অস্ত্র, রড ও লাঠি নিয়ে হামলা করে সন্ত্রাসীরা। হামলার সময় সম্মেলন কক্ষের মাল্টিমিডিয়া, সাউন্ড সিস্টেম, ফ্রিজ, সিসি ক্যামেরা, কম্পিউটার, ওষুধ, এসিসহ বিভিন্ন বৈদ্যুতিক সামগ্রী ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এ সময় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজনকে জানানো হলেও তারা কোনো কার্যকর ভূমিকা পালন করেনি। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ৬ দফা দাবি তুলে ধরেন।
দাবিসমূহ হলো- অবিলম্বে গণবিশ্ববিদ্যালয় ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে, হামলাকারীদের শনাক্ত করে শাস্তি দিতে হবে, গণবিশ্ববিদ্যালয় ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে আইনানুগ ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে, গণবিশ্ববিদ্যালয় ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ওপর হামলার ক্ষয়ক্ষতির দায়ভার সরকারকে বহন করতে হবে ও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, আক্রান্ত শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চিকিৎসার দায়দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে এবং ভবিষ্যতে এ প্রতিষ্ঠানের ওপর কোনো প্রকার হামলার পুনরাবৃত্তি না হয় তার নিশ্চয়তা সরকারকে দিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক নাসিম আখতার হুসাইন, অধ্যাপক আবদুল লতিফ মাসুম, অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান, অধ্যাপক মো. শরিফ উদ্দিন, অধ্যাপক আমজাদ হোসেন, সহযোগী অধ্যাপক আনিছা পারভীন জলিসহ জাবি ও গণবিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৮
আরবি/