ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পুলিশের ওপর হামলায় মামলা: দুই আসামি প্রবাসী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০১৮
পুলিশের ওপর হামলায় মামলা: দুই আসামি প্রবাসী

ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহে বিশেষ ক্ষমতা আইনে পুলিশের করা মামলায় দুই প্রবাসীকে আসামি করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী ও তার স্বজনরা। ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। 

সম্প্রতি ঈশ্বরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জিয়াউর রহমান বাদী হয়ে ৪০ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেন।  

মামলার এজাহার অনুযায়ী, গত ১ নভেম্বর রায়ের বাজার এলাকায় সরকারবিরোধী উচ্ছৃঙ্খল নেতা-কর্মীরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এবং পুলিশের ওপর হামলা চালান।

এ ঘটনায় ৪০ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করা হয়। মামলার ১৬ নম্বর আসামি বিঞ্চুপুর গ্রামের আব্বাছ আলীর কাতার প্রবাসী ছেলে রিপন মিয়া।  

মামলার বিষয়ে সোমবার (০৫ নভেম্বর) দুপুরে কাতার প্রবাসী রিপন মিয়া মোবাইল ফোনে বাংলানিউজকে বলেন, বিদেশ এসে শুনেছি আমার নামে মামলা হয়েছে। অথচ মামলার ঘটনার  সাত দিন আগে গত ২৫ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১১টায় কাতার এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে শ্রমিক ভিসায় ঢাকা ত্যাগ করেছি।  

একই মামলার ৩২ নম্বর আসামি ইসলামী ঐক্যজোটের উপজেলা সভাপতি ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলটির মনোনীত প্রার্থী হাফেজ মাওলানা সাইদুর রহমান।  
   
ক্ষোভ প্রকাশ করে সাইদুর রহমান বলেন, মামলার ঘটনাটি বানোয়াট। কিন্তু পুলিশ গায়েবি মামলায় আমাকে আসামি করেছে।  

এদিকে ককটেল বিস্ফোরণ ও পুলিশের ওপর হামলার কোনো ঘটনা ঘটেছে কি-না তা জানেন না মামলার প্রধান সাক্ষী গোপাল মিয়া।  

বাংলানিউজকে তিনি বলেন, পুলিশ আমাকে সাক্ষী করেছে শুনলাম। কিন্তু এ ধরনের কোনো ঘটনা আমার চোখে পড়েনি।

এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ কবির বাংলানিউজকে বলেন, আমি এই ধরনের কোনো ঘটনার কথা (জড়িত না থেকেও মামলার আসামি) শুনিনি। এখনো মামলার তদন্ত কাজ শেষ হয়নি। ঘটনা সত্য হলে মামলার ফাইনাল (চার্জশীট) দেওয়ার সময় ওই নাম (আসামি রিপন) বাদ দেওয়া হবে।

অপরদিকে, গত ৩ নভেম্বর নান্দাইল মডেল থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে হওয়া আরেকটি মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চর কমরভাঙ্গা গ্রামের নূরুল ইসলামের প্রবাসী ছেলে তোফাজ্জল হোসেন মন্ডলকে আসামি করা হয়েছে।  

নান্দাইল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) খাইরুল ইসলাম বাদী হয়ে পুলিশের উপর হামলা ও নাশকতা পরিকল্পনার অভিযোগে ৪৯ জনের নাম উল্লেখ করে এই মামলা করেন। তোফাজ্জল মামলার ১১ নম্বর আসামি।  

যোগাযোগ করা হলে তোফাজ্জলের ভাই মোফাজ্জল হোসেন জানান, ২০০১ সালের পহেলা জুন তোফাজ্জল কর্মজীবী ভিসায় সৌদি আরব যান। প্রায় ১৭ বছর ধরে সে সৌদি থাকে। এর মধ্যে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে তিনি (তোফাজ্জল) একবার দেশে এসেছিলেন। অথচ পুলিশ গায়েবি মামলায় তাকে আসামি করেছে।
   
যোগাযোগ করা হলে নান্দাইল মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিষয়ে আশেপাশের লোকজনের কাছ থেকে জেনে মামলায় আসামি করা হয়েছে। তবে কেউ যদি দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসে থাকেন তাহলে, অবশ্যই মামলা থেকে তার নাম বাদ দেওয়া হবে। আমাদের তদন্ত কার্যক্রম চলছে।  

এমন কেউ আসামি হয়ে থাকলে অবশ্যই তাকে বাদ দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।  

বাংলাদেশ সময়: ২১০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৮ 
এমএএএম/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।