ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

স্কুলছাত্র ইমন হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিলেন দুই বিচারক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৮
স্কুলছাত্র ইমন হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিলেন দুই বিচারক শিশু ইমন/ফাইল ফটো

সিলেট: শিশু ইমন হত্যা মামলায় এবার সাক্ষ্য দিলেন দুই বিচারক। সোমবার (১২ নভেম্বর) সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেন তারা। 

দুই বিচারক হলেন- হবিগঞ্জের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক মোহাম্মদ শহীদুল আমিন ও সুনামগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্যাম কান্ত সিনহা।
 
সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রেজাউল করিমের বেঞ্চে সাক্ষ্য দেন তারা।


 
এর আগে একই আদালতের বিচারক মো. মকবুল আহসানের কাছে বাদীর মানিত ২০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জনই সাক্ষ্য দেন।
 
আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট কিশোর কুমার কর বলেন, বাদীর মানিত সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। সোমবার থেকে দু’জন বিচারক সাক্ষ্য দেওয়ার মাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। আগামী ৪ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী তারিখে ডাক্তার ও তদন্তকারী কর্মকর্তা সাক্ষ্য দেওয়ার কথা রয়েছে।
 
সাক্ষ্য দেওয়ার সময় বিচারক মোহাম্মদ শহীদুল আমিন উল্লেখ করেন, তিনি ২০১৫ সালের ১৯ এপ্রিল সুনামগঞ্জে কর্মরত থাকা অবস্থায় মামলার আসামি সুয়াইবুর রহমানের (মসজিদের ইমাম) স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করেন। আদালতে হাজিরকালে তাকে চিন্তা-ভাবনার জন্য তিন ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়। চিন্তা-ভাবনার পর তাকে পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদ করলে, দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
 
এছাড়া সুনামগঞ্জের ছাতকে কর্মরত থাকাবস্থায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্যাম কান্ত সিনহা ২০১৫ সালের ১০ এপ্রিল সুজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন বলেও সাক্ষ্য দেন।
 
২০১৫ সালের ২৭ মার্চ লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট কারখানার কমিউনিটি বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণির ছাত্রকে অপহরণ করা হয়। মুক্তিপণের টাকা পাওয়ার পরও অপহরণকারীরা শিশু ইমনকে হত্যা করে। মোবাইল ট্রেকিংয়ের মাধ্যমে সিলেটের কদমতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে শিশু ইমনের হত্যাকারী ঘাতক ইমাম সুয়েবুর রহমান সুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।  

তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি, বিষের বোতল ও ইমনের রক্তমাখা কাপড় উদ্ধার করা হয়। এছাড়া বাতিরকান্দি হাওর থেকে ইমনের মাথার খুলি ও হাতের হাড় উদ্ধার করা হয়েছিল।
 
নিহত শিশু ইমন ছাতক উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের বাতিরকান্দি গ্রামের সৌদি প্রবাসী জহুর আলীর ছেলে।
 
মামলাটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের পর ২০১৬ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৮
এনইউ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।