দুদকের এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের ভারপ্রাপ্ত প্রধান সমন্বয়ক ও মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) সারোয়ার মাহমুদের নির্দেশে মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর) এ অভিযানে অংশ নেন দুদকের সহকারী পরিচালক নার্গিস সুলতানা ও মোহাম্মদ জিন্নাতুল ইসলাম।
কমিশনের অভিযোগ কেন্দ্রের হটলাইনে (১০৬) পাওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিকভাবে স্কুলটিতে অভিযান চালান দুদক বিশেষ টিমের সদস্যরা।
দুদক টিম সরেজমিনে পরিদর্শন এবং রেকর্ড-পত্র পর্যালোচনা করে দেখে ফরম পূরণে সরকার নির্ধারিত ফি নেওয়া হলেও একই সাথে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোচিং ও অন্যান্য ফি বাবদ বিনা রশিদে সাকুল্যে অতিরিক্ত ৩৫৬০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে।
বিনা রশিদে অতিরিক্ত ফি আদায়ের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের হস্তক্ষেপের প্রেক্ষিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষ লিখিতভাবে প্রতিশ্রুতি দেয়, যারা অর্থিকভাবে অস্বচ্ছল ও ফি প্রদানে অপারগ তাদের ফি মওকুফ করা হবে। কোনো অভিভাবক আপত্তি করলে কোচিং ফি ফেরত দেওয়া হবে।
অভিযান প্রসঙ্গে দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) সারোয়ার মাহমুদ বলেন, কমিশন এ জাতীয় অনৈতিক অর্থগ্রহণের বিষয়টি প্রতিরোধে আইনি কাঠামোর মধ্যে থেকে প্রতিরোধের চেষ্টা করছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সফলতা পাওয়া যাচ্ছে। অভিভাবক, শিক্ষক, বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি এবং ছাত্র-ছাত্রীদের সম্মিলিতভাবে এ জাতীয় অনৈতিক আর্থিক লেনদেন বন্ধে এগিয়ে আসতে হবে।
মিরপুর গার্লস আইডিয়াল ল্যাবরেটরি ইনস্টিটিউট থেকে ২০১৯ সালের এসএসসি পরীক্ষায় ৪৪০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৮
আরএম/এমজেএফ