ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নুহাশ পল্লীর রাস্তা বন্ধ করলো বনবিভাগ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৮
নুহাশ পল্লীর রাস্তা বন্ধ করলো বনবিভাগ নন্দিত কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের সমাধি, ছবি: বাংলানিউজ

গাজীপুর: স্থাপনের প্রায় ২২ বছর পর নন্দিত কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের স্বপ্নের নুহাশ পল্লীর প্রবেশের রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছে বনবিভাগ। এতে নষ্ট হচ্ছে সেটির সৌন্দর্য। পাশাপাশি হুমায়ূন ভক্তদের নুহাশ পল্লীতে প্রবেশে প্রতিবন্ধকতাও সৃষ্টি হচ্ছে।

নুহাশ পল্লীর ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম বুলবুল বাংলানিউজকে জানান, প্রায় দেড়মাস আগে নুহাশ পল্লীর প্রায় ১শ’ গজ সামনে প্রবেশের রাস্তাটি বন্ধ করে দেয় বনবিভাগ। পল্লীর ভেতর সাহিত্যিকদের নিজের হাতে লাগানো বিভিন্ন প্রজাতির আম বাগানের ৫৫ শতাংশ জমি বনবিভাগের বলে দাবি করে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি দিয়েছে।

এতে লেখা রয়েছে সংরক্ষিত বনভূমি। পল্লীতে প্রবেশের রাস্তাটিতে কাঠের খুঁটি পুঁতে ও গর্ত করে বন্ধ করে রেখেছে। রাস্তা বন্ধ থাকায় হুমায়ূন ভক্তসহ সবার চলাচলের বিঘ্ন ঘটছে।

স্থানীয় বাসিন্দা নূরে আলম বাংলানিউজকে জানান, নুহাশপল্লীতে যাওয়ার শত বছরের রাস্তাটি বন্ধ করেছে বনবিভাগের লোকজন। নুহাশ পল্লী স্থাপনের অনেক বছর আগে থেকেই এ রাস্তাটি ছিল। এ রাস্তা দিয়ে শতশত মানুষ চলাচল করে। রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় নুহাশ পল্লীর ভেতর হুমায়ূন স্যারের ভক্তসহ এলাকার লোকজনের চলাচলের বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।

এ ব্যাপারে রাথুরা বন বিট কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, রাস্তাটি বন বিভাগের থাকায় ঊর্ধ্বতনদের নির্দেশে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন বাংলানিউজ জানান, হুমায়ূন ভক্তদের দিকে তাকিয়ে ও এলাকাবাসীর চলাচলের সুবিধার জন্য রাস্তাটি খুলে দেওয়া ও মেরামত করা উচিত। পল্লীর ভেতর বনবিভাগের যে জমিটি রয়েছে সেটি আমরা কিভাবে ছাড়তে পারি? কারণ এখানে হুমায়ূনের নিজের হাতে লাগানো বিভিন্ন প্রজাতির আম গাছ রয়েছে। এটি পড়ে গেছে বনবিভাগের জমিতে। এনিয়ে আমরা আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছি। এটি হুমায়ূনের পছন্দের একটি জায়গা। তার সমাধির পাশেই বাগানটি। আমরা চেষ্টা করবো বনবিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে একটা ব্যবস্থা করতে। এখানে কোনো স্থাপনা আমরা করিনি শুধু গাছই আছে। এখন এখানে একটা বেড়ার মতো দেখতে খারাপ দেখায়।

বাংলাদেশ সময়: ২২১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৮
আরএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।