ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘তোশাখানা জাদুঘর’ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৮
‘তোশাখানা জাদুঘর’ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী তোশাখানা জাদুঘর পরিদর্শন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা/ছবি: পিআইডি

ঢাকা: নবনির্মিত রাষ্ট্রীয় তোশাখানা জাদুঘর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর বিজয় সরণির বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর সংলগ্ন এলাকায় নির্মিত এ জাদুঘর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

৫০ হাজার স্কয়ার ফিট এলাকাজুড়ে পাঁচতলা অত্যাধুনিক এ রাষ্ট্রীয় তোষাখানা জাদুঘরটি নির্মাণ করতে খরচ হয়েছে ৮০ কোটি টাকা।

সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে এটি নির্মাণ করা হয়। এর ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী এবং সরকারের প্রতিনিধিদের বিভিন্ন দেশ থেকে পাওয়া সব রাষ্ট্রীয় উপহার সামগ্রী, গুরুত্বপূর্ণ দেশি-বিদেশি সম্মাননাও এখানে সংরক্ষণ করা হবে।

তোশাখানা জাদুঘর পরিদর্শন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা/ছবি: পিআইডিদেশে-বিদেশে পাওয়া সব উপহার রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় যথাযথভাবে সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের উপহারগুলো রাষ্ট্রের সম্পত্তি। এগুলো দেশের সম্মান ও মর্যাদা বহন করে। সুতরাং, এগুলো খুব ভালোভাবে সংরক্ষণ করা উচিত।

বিগত বিএনপি-জামায়াত আমলে বিভিন্ন উপহার ও দুর্লভ ছবি নষ্ট হওয়ার কথা উল্লেখ করে দুঃখ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রীয় উপহারগুলো সংরক্ষণে তোশাখানা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তার নির্দেশনায় ১৯৭৪ সালে তোশাখানা আইন প্রণীত হয় এবং বঙ্গভবনে এটি নির্মাণ করা হয়।

পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় তোশাখানার জন্য আলাদা ভবন নির্মাণের প্রয়োজনীয় অনুভব করেন এবং তার নির্দেশনায় বিজয় সরণির এই তোষাখানা জাদুঘরটি নির্মিত হয়। যেখানে সর্বসাধারনের দেখার সুযোগ থাকবে রাষ্ট্রীয় উপহারগুলো।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে স্মারক তুলে দিচ্ছেন সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদউদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়তে এবং রাষ্ট্রের সম্মান ধরে রাখতে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে যাননি, সম্মানও দিয়ে গেছেন। আমাদের সে সম্মান ধরে রাখতে হবে।

গত ১০ বছরের সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ১০ বছরে মানুষের জীবনমান উন্নত হয়েছে। আমরা জনগণের জীবনযাত্রার মান আরো উন্নত করতে চাই।

তিনি বলেন, আমরা ২০২১ সালে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার মধ্য স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করতে চাই। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ হবে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ।

বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানাসহ মন্ত্রী পরিষদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, কূটনীতিক কোরের সদস্য, বিভিন্ন বাহিনী প্রধানরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৮
এমইউএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।