ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নির্বাচন বানচালের নামে বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাস ভুল ছিল 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৮
নির্বাচন বানচালের নামে বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাস ভুল ছিল  বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ (ফাইল ছবি)

ঢাকা: বিএনপি বুঝতে পেরেছে ২০১৪ সালের নির্বাচন বানচালের নামে মানুষ হত্যা ও অগ্নিসন্ত্রাস করা ভুল ছিল। সেসময় পুলিশ, নির্বাচনে কর্মরত কর্মকর্তা হত্যা, ভোটকেন্দ্রে অগ্নিসংযোগ, সাধারণ মানুষকে হত্যা করে নির্বাচন ঠেকানোর চেষ্টা করে তারা ব্যর্থ হয়েছিল। গত বুধবার বিএনপি অফিসের সামনে পুলিশের উপর আক্রমণ করা হয়েছে, পুলিশের গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে,  তাদের এ কাজ কেউ প্রত্যাশা করেনি। দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখন নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে।

বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) এক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ একথা বলেন।  

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে গ্রিসের অনারারি কনস্যুল জেনারেল এবং বিজিএমইএ’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ফারুক হাসান, বিকেএমইএ’র ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মনসুর আহমেদ, বাংলাদেশ পেপার মিলস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ ইনডেন্টিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মুহা. আইয়ুব, ওয়েল গ্রুপের চেয়ারম্যান সৈয়দ নূরুল ইসলাম বক্তব্য দেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা এখন মন্ত্রণালয়ের শুধু রুটিনমাফিক কাজ করছি। নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগের মতো কোনো কাজ করছি না। দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন ভোটগ্রহণের তারিখ ২৩ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর তারিখে পুনঃনির্ধারণ করেছে। আর পেছানো ঠিক হবে না। দেশে একটি অবাধ নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য সবকিছুই সঠিকপথে এগিয়ে যাচ্ছে।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, দেশের তৈরি পোশাক শিল্প দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। একের পর এক এখন দেশে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন গ্রিন ফ্যাক্টরি গড়ে উঠছে, ইতোমধ্যে ৭৫টি ফ্যাক্টরিকে গ্রিন ফ্যাক্টরির সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। আরও ২৮০টি ফ্যাক্টরি গ্রিন সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল বিশ্বের মধ্যে ১০টি তৈরি পোশাক ফ্যাক্টরিকে গ্রিন ফ্যাক্টরির সার্টিফিকেট প্রদান করেছে, এর মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয়সহ সাতটি বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানা। এ শিল্পে দেশের প্রায় ৪০ লাখ মানুষ কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদানসহ বিভিন্নভাবে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। সরকার গত অর্থবছরে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রফতানি করে ৩০ দশমিক ৬১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি বেড়েছে ১৯ ভাগ এবং নতুন বাজারে রফতানি বেড়েছে ৪০ ভাগ।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার দেশের শিল্পখাতকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।  দেশের চাহিদা পূরণ করে এখন কাগজ বিদেশেও রফতানি হচ্ছে। একইভাবে দেশের উন্নয়ন কাজে ব্যবহৃত সিমেন্ট আমদানিনির্ভর ছিল। সরকার একইভাবে সিমেন্ট উৎপাদনের কাচাঁমাল আমদানির উপর শুল্ক শূন্য করে ফিনিস সিমেন্ট আমদানির উপর অধিক হারে শুল্ক আরোপের ফলে বাংলাদেশ এখন সিমেন্ট উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ।  এখন দেশে ৩ কোটি মেট্রিক টন সিমেন্ট উৎপাদিত হচ্ছে এবং উৎপাদন ক্ষমতা ৬ কোটি মেট্রিক টন। একসময় দেশ কৃষির উপর নির্ভরশীল ছিল। আজ জিডিপিতে কৃষির অবদান ১৫ ভাগ, শিল্পে ১৩ ভাগ এবং সেবা খাতে ৫৫ ভাগ অবদান রাখছে।  

উল্লেখ্য, প্রদর্শনীতে এশিয়া, ইউরোপ ও আমেরিকার ১২টি দেশের প্রতিষ্ঠান তৈরি পোশাকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও টেকনোলজি প্রদর্শন করছে। আগামী ১৮ তারিখ পর্যন্ত প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৮
জিসিজি/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।