ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘বৈশ্বিক উন্নয়ন বাস্তবায়নে সার্ক খুব কার্যকর হচ্ছে না’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৮
‘বৈশ্বিক উন্নয়ন বাস্তবায়নে সার্ক খুব কার্যকর হচ্ছে না’ সিপিডি আয়োজিত সংলাপে বিশেষজ্ঞরা-ছবি-বাংলানিউজ

ঢাকা: দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বৈশ্বিক উন্নয়নের যে সম্ভাবনার কথা বলা হচ্ছে সেটা বাস্তবায়নে সার্ক খুব বেশি কার্যকর হচ্ছে না। তাই নতুন ধারণা নিয়ে নতুন প্লাটফর্ম তৈরির প্রস্তাবনা দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

মঙ্গলবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) আয়োজিত সংলাপে একথা বলেন বিশেষজ্ঞরা। সিপিডি’র অতিরিক্ত পরিচালক ফাহমিদা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী।

এছাড়াও উপস্থিতি ছিলেন-এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল সম্পর্কিত অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনইএসসিএপি) প্রধান ড. নাগেশ কুমার, আফগানিস্তানের সিনিয়র পলিসি অ্যাডভাইজার আব্দুল ওয়াহেদ আহমেদ, শ্রীলঙ্কার ইনস্টিটিউট অব পলিসি স্টাডিস অব শ্রীলঙ্কা (আইপিএস) রিসার্স ফেলো ড. গানগা তিলাকারত্নে, নেপালের পোশ রাজ পান্ডে প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ধারণাপত্র পাঠ করেন সিপিডি’র বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
 
ড. গওহর রিজভী বলেন, টেকসই উন্নয়ন নির্ভর করে সরকারি সংস্থাগুলোর কাজের ওপর। এখানে একক কোনো সংস্থা বা মন্ত্রণালয় কাজ করলে হবে না। সবগুলো মন্ত্রণালয়কে সম্মিলিতভাবেই কাজ করতে হবে। সম্মিলিতভাবে কাজ করতে না পারলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) এক লক্ষ্যমাত্রাও অর্জন করা সম্ভব না।
 
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এসডিজি’র লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতার ওপর জোর দিয়েছেন। বর্তমান সরকার সব সময় আঞ্চলিক সহযোগিতা সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েই এগিয়ে চলছে।
 
ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বৈশ্বিক উন্নয়ন কর্মসূচি আসার ফলে জনমনে যে আকাঙ্খার সৃষ্টি হয়েছে এবং দারিদ্র্য দূরীকরণ, মানবসম্পদ উন্নয়ন, কর্মসংস্থান ইত্যাদি নিয়ে যে সম্ভাবনার কথা বলা হচ্ছে সেটা বাস্তবায়ন করার জন্য এই মুহূর্তে আমাদের আঞ্চলিক কাঠামো বিশেষ করে সার্ক খুব কার্যকর হচ্ছে না। তাই জনপ্রত্যাশার সঙ্গে আমাদের আঞ্চলিক কাঠামোর একটা পার্থক্য সৃষ্টি হয়েছে। এই পার্থক্য দূর করার জন্য হয়তো নতুন ধরনের পদ্ধতি এবং নতুন ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর প্রয়োজন পড়বে। সেই প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর পদ্ধতি জনপ্রত্যাশা পূরণ করতে হলে জনগণের প্রত্যাশার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হতে হবে। এমনকি রাজনীতির মঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হতে হবে।
 
তিনি বলেন, বৈশ্বিক পরিস্থিতির সঙ্গে মিলিয়ে আমাদের সামনের দিকে এগুতে হবে। আর তার জন্য নতুন জ্ঞানের দরকার, নতুন বিশ্লেষণের দরকার এবং নতুন জ্ঞান এবং বিশ্লেষণকে নীতি নির্ধারকদের কাছে নিয়ে নতুন পলিসি সৃষ্টি করা দরকার। এটা না হলে বৈশ্বিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে যে আঞ্চলিক সহযোগিতার বাড়তি সুযোগ ছিল, সেটা আমরা হারাবো। আর সেটা হারানোর ফলে জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৮
এসএম/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।