মঙ্গলবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শিশু পাচার প্রতিরোধে কমিউনিটি ও নেটওয়ার্কিং শক্তিশালীকরণে প্রিভেনশন অব চাইল্ড ট্রাফিকিং থ্রো স্ট্রেন্থেনিং কমিউনিটি অ্যান্ড নেটওয়ার্কিং (পিসিটিএসসিএন) এবং অ্যাসটেক বাংলাদেশের আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
মানববন্ধনে ইনসিডেন্স বাংলাদেশ'র ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল ইসলাম খান, পিসিটিএসসিএল'র প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর শারিফুল্লাহ রিয়াজ এবং সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) পক্ষে মো. জাহিদ হাসানসহ বিশিষ্ট জনেরা বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে অর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও জাতীয় আন্তর্জাতিক পরিসরে সমীহ করার মতো অগ্রগতি ও সাফল্য অর্জিত হলেও অনেক চ্যালেঞ্জ এবং প্রতিবন্ধকতা এখনো মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এর মধ্যে শিশু ও মানবপাচারের বিস্তৃতি অন্যতম।
বক্তারা বলেন, শিশুরা বিভিন্ন ধরনের জোরপূর্বক শ্রম ও বাধ্যতামূলক ও শোষণমূলক শ্রমের উদ্দেশে পাচারের শিকার হয়ে থাকে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, সঠিক পরিবেশ ও স্নেহ দেওয়ার কথা বলে শিশুদের নিয়োগ করে তাদের কোনো ধরনের শিক্ষা ও স্নেহ না দিয়ে, অত্যাচার ও দীর্ঘ সময় বিনা বা স্বল্প মজুরিতে কাজ করানো, ছুটি বা ঘরে ফেরার দাবি উপেক্ষা করা, আগাম শ্রম কিনে নিয়ে ইটের ভাটা বা শুটকি তৈরির কাজে শিশুদের নিয়োগ, জোরপূর্বক ভিক্ষাবৃত্তি, ছেলে-মেয়ে উভয়েরই অঙ্গ পাচার, যৌন শোষণ ইত্যাদি এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, আমাদের দেশে শিশু পাচার আইন আছে, মানবপাচার দমন ও প্রতিরোধ আইনে শাস্তি ও সুরক্ষার বিধান আছে। এছাড়া মানবপাচার রোধে বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে বেশকিছু পদক্ষেপও গ্রহণ করেছে। আমাদের সেসব বিষয়ে জানা জরুরি।
শিশু পাচার বন্ধে আমাদের করণীয় উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, প্রথমে আমাদের জানতে হবে শিশু পাচার কি ও তা প্রতিরোধ বা প্রতিকারে আমরা কি করতে পারি। এরপর আমাদের সহকর্মী, পাড়া-প্রতিবেশি, বন্ধু-বান্ধব ও শিশুসহ সবাইকে বিষয়টি জানাতে হবে। আমাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা পালন করতে হবে। এরমধ্যে কোনো শিশুকে পাচারের জন্য ঝুকিপূর্ণ মনে হলে তার সুরক্ষার উদ্যোগ, উদ্ধারকৃত শিশুর আইনগত সহায়তা, আশ্রয় এবং পারিবারিক বা সামাজিক প্রতিষ্ঠা সহায়তার ব্যবস্থা করা আমাদেরই দায়িত্ব।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৮
এইচএমএস/আরআইএস/