শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও দুদক এ বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।
মঙ্গলবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে অফিস থেকে বের হওয়ার সময় দুদক চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের এক অনির্ধারিত ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।
তিনি বলেন, যেসব স্কুল এই অতিরিক্ত টাকা নিয়েছে, তারা একটি মামলাযোগ্য অপরাধ সংগঠিত করেছে। এর বিরুদ্ধে দুদক ব্যবস্থা নেবে। এরইমধ্যে এজন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একটি প্রকল্প শুরু করা হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে কঠোর।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, এই ঘটনায় আমি ব্যক্তিগতভাবে অত্যন্ত মর্মাহত। এ বছরের শুরুতেই এজন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষাবোর্ড ও মন্ত্রিপরিষদকে এ বিষয়ে সুপারিশ দিয়েছিলাম। অথচ এখন প্রতিদিনই আমাদের কাছে হাজার হাজার অভিযোগ আসছে। আমরা এরইমধ্যে অ্যাকশনে গিয়েছি। জেলা অফিসগুলোকে অ্যাক্টিভ করেছি। জেলা প্রশাসকদের লিখিত ব্যবস্থা নিতে বলেছি।
‘শিক্ষা সচিব আজ আমার কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। শেইমলেস, অবিবেচক মানুষগুলো শিক্ষকতার নামে কি ভয়ানক অপরাধ করে চলেছেন! এক সাবজেক্টে এমন কি আরো বেশি বিষয়ে টেস্টে ফেল করা বাচ্চারাও হাজার হাজার টাকার বিনিময়ে সেন্টারে চলে যাচ্ছে। তারা তাদের পাসও করিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু পাস করানো তো বিষয় নয়। আমার শিশুর দরকার পড়াশোনা। সে যদি ফেল করেও সেন্টারে চলে যায়, তবে সে শিখবে কেনো? আমরা তো বাচ্চাদের কোয়ালিটি এডুকেশন চাই। তারা যদি পড়ার টেবিলে যাওয়ার তাগিদ অনুভব না করে, তাহলে তারা শিখবে কেনো?’-বলেন দুদক চেয়ারম্যান।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৮
আরএম/জেডএস