মঙ্গলবার (২০ নভেম্বর) রাত ৮টা ২৫ মিনিটের দিকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুবুল ইসলাম মুক্তির বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, জামিননামায় কিছু ভুল থাকায় তা সংশোধনের জন্য আবারো সিএমএম আদালতে পাঠানো হয়। পরে সংশোধনী হাতে পেয়ে রাতে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
গত ১৫ নভেম্বর বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়াল ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ শহিদুল আলমের জামিন মঞ্জুর করেন।
গত ২৯ অক্টোবর বিদেশি টিভি চ্যানেল আল জাজিরায় প্রচারিত আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের বক্তব্য এবং ফেসবুক লাইভে প্রচারিত তথ্য উপাত্ত চেয়েছিলেন হাইকোর্ট। সে অনুসারে সোমবার ভিডিও আদালতে প্রজেক্টরের মাধ্যমে দেখানো হয়।
এর আগে ৭ অক্টোবর শহিদুল আলমকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।
গত ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ইমরুল কায়েস শহিদুল আলমের জামিন আবেদন নাকচ করেছিলেন।
এরপর ১৬ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন তিনি। ৩ অক্টোবর এ জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয় এবং ৭ অক্টোবর রুল জারি করেন।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনের সময় ৫ আগস্ট শহিদুল আলমকে বাসা থেকে নেওয়ার পর ‘উসকানিমূলক মিথ্যা’ প্রচারের অভিযোগে তথ্য-প্রযুক্তি আইনের মামলায় ৬ আগস্ট রিমান্ডে নেয় পুলিশ। এ মামলায় ৬ আগস্ট সিএমএম আদালতে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৮
এজেডএস/এসএইচ