বুধবার (২১ নভেম্বর) সকালে দুবলারচরের আলোরকোল এলাকায় এ মেলা শুরু হয়।
রাস উৎসব শ্রীকৃষ্ণের ব্রজলীলার অনুকরণে বৈষ্ণবীয় ভাবধারায় অনুষ্ঠিত ধর্মীয় উৎসব।
পুণ্যার্থী মৌসুমী দেবনাথ বাংলানিউজকে বলেন, ভগবান শ্রী কৃষ্ণের নৈকট্য লাভের জন্য অনেক কষ্ট করে এখানে এসেছি। শুক্রবার (২৩ নভেম্বর) ভোরে পুণ্য স্নান শেষে চলে যাব।
দুবলা ফিশারম্যান গ্রুপের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহনুর রহমান শামীম বাংলানিউজকে বলেন, রাসমেলায় দূরদূরান্ত থেকে অনেক দর্শণার্থীরা এসেছে। মেলা উপলক্ষে এখানে প্রায় ২ শতাধিক দোকান বসেছে। মেলাটি মাত্র তিনদিনের জন্য করা হয়। কারণ প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাত্র তিন দিনের অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু দূরদূরান্ত থেকে যেসব দর্শণার্থীরা আসেন তারা তিন দিনে সুন্দরবনের মূল সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে পারে না। এজন্য দর্শণার্থী ও ব্যবসায়ীদের কথা চিন্তা করে মেলার ব্যাপ্তি তিনদিন থেকে ছয়দিন করার দাবি জানান তিনি।
রাস উৎসব বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি মো. কামাল উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, মুক্তিযোদ্ধা মেজর জিয়া উদ্দিন আহমেদ পরলোকগমনের পর আমি মেলার দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। প্রশাসেনর পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা পাচ্ছি। তবে দর্শণার্থীদের কথা চিন্তা করে মেলার সময় ছয়দিন করলে এ অঞ্চলে আরো বেশি লোকের সমাগম হবে।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগেরে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. মাহমুদুল হাসান বাংলানিউজকে জানান, রাসমেলা উপলক্ষে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। মেলায় বন বিভাগের পাশাপাশি পুলিশ, নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড, রাস কমিটির স্বেচ্ছাসেবক ও জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৮
এনটি