ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

যুদ্ধাপরাধী-জঙ্গি মদদদাতাদের ভোট না দেওয়ার আহ্বান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৮
যুদ্ধাপরাধী-জঙ্গি মদদদাতাদের ভোট না দেওয়ার আহ্বান সংবাদ সম্মেলনে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নেতারা

রাজশাহী: সংসদ নির্বাচনে রাজাকার, যুদ্ধাপরাধী, জঙ্গি মদদদাতা ও সন্ত্রাসীদের ভোট না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।

মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজশাহীর মুক্তিযুদ্ধ পাঠাগারে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে জেলা ও মহানগর শাখা একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নেতারা এ আহ্বান জানান।  

ভাষা সৈনিক আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি রাজশাহী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ রাজকুমার সরকার।

 

লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা প্রক্রিয়ার শুরুতে লক্ষ্য করা যাচ্ছে এবারের নির্বাচনে একটি জোট বা দল, সন্ত্রাসী, জঙ্গিবাদ ও রাজাকারদের সহযোগী-দোসরদের সংসদ নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন দিয়েছে।  

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জঙ্গি মদদদাতা হিসেবে অভিযুক্ত ব্যারিস্টার আমিনুল হক, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, মিজানুর রহমান মিনু, নাদিম মোস্তফা, নাশকতা মামলার আসামি আবু সাঈদ চাঁদকেও এবার মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি। এছাড়া যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতের অনেক নেতাকেও মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। যারা অগ্নিসন্ত্রাস করে দেশে বিভীষিকাময় পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিল তারাও এখন প্রার্থী হয়েছেন।  

এবারের নির্বাচনে তাদের বয়কটের আহ্বান জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, যারা ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের সেই বিভীষিকাময় দিনগুলোর হত্যা, গুম, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণের কাহিনীগুলো ঘটিয়েছিল, বাংলা ভাইয়ের উত্থানের মধ্য দিয়ে এ অঞ্চলের সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলো, যারা দেশের প্রতিষ্ঠিত বিচার ব্যবস্থাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দিনে-দুপুরে নিজেরাই বিচার করে নির্যাতন করেছিল, তাদের জনগণভোট দেবে না। তাদের বয়কট করতেই হবে।  

এজন্য একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি নির্বাচনী মাঠে নামবে বলেও সংবাদ সম্মেলন থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়।  

এসময় অন্যদের মধ্যে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ কামরুজ্জামান, শিক্ষক নেতা অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির জেলা সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান আলী বরজাহান, নির্বাহী সম্পাদক ড. সুজিত সরকার, লেখক-সাহিত্যিক প্রশান্ত কুমার শাহা, কবি আরিফুল হক কুমার, রাবির সাবেক উপ-উপাচার্য ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের জেলা সভাপতি  মো. নূরুল্লাহ, নাট্য ব্যাক্তিত্ব কামারুল্লাহ সরকার, মহিলা পরিষদের সভাপতি কল্পনা রায়, মুক্তিযুদ্ধ পাঠাগারের সভাপতি প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির মহানগর সম্পাদক মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২১৮
এসএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।