বৃহস্পতিবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের প্রধান কার্যালয়ে নতুন আইনের প্রায়োগিক বিভিন্ন বিষয় পর্যালোচনার জন্য আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নানা কারণকে সামনে রেখে ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-১৯৯০’ প্রয়োজনীয় সংস্কার করে ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮’ প্রণয়ন করা হয়েছে।
‘এনপিএস নামে নতুন মাদক আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। আমাদের দেশে কোনো মাদক তৈরি না হওয়া সত্ত্বেও পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে মাদক আসে। মাদক পাচারকারীরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে তৎপর রয়েছে। আইনগত দুর্বলতা ও ফাঁক-ফোকরের কারণে প্রকৃত অপরাধীরা কারাগার থেকে বেরিয়ে যায়। তবে সংশোধিত আইনে সে সুযোগ থাকবে না। ’
সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ মোকাবেলার মতো মাদক ঠেকাতেও সফল হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, নতুন আইনে ইয়াবা পাচার ব্যবসায়ীদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২০০ গ্রামের বেশি এমফিটামিনযুক্ত ইয়াবা আটকে সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কিংবা মৃত্যুদণ্ড। আর গডফাদারদের জন্য মানি-লন্ডারিং মামলায় শাস্তির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আর যেকোনো নতুন মাদক আবির্ভাব ঘটলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ব্যবস্থা নিতে পারবে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরকে শক্তিশালী করতে সরকার জনবল বাড়িয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল বলেন, ঢাকাসহ বিভাগীয় পর্যায়ের ৬টি নতুন কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়েছে। বর্তমানে চট্টগ্রামে নতুন রাসায়নিক গবেষণাগার চালু চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার সহযোগিতায় অফিদফতরের লজিস্টিক সাপোর্ট বাড়ানোর জন্য চেষ্টা চলছে।
পাঠ্যপুস্তকে মাদকবিরোধী বিষয় সংযুক্ত করা হলে কিশোর বয়স থেকেই ছেলে-মেয়েদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াবে বলে মনে করেন তিনি।
কর্মশালায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. জামাল উদ্দিন আহমেদসহ ঊর্ধ্বতনরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৮
পিএম/এমএ