বৃহস্পতিবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবাস বাংলাদেশ মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ওই যুবক বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আহত তারেক রাজশাহীর মতিহার থানার ধরমপুর এলাকার মো. আসলামের ছেলে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে একটি দোকানের কর্মচারী বলে জানা গেছে।
অপরদিকে, অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা হলেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ।
আহত তারেক বাংলানিউজকে জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাবাস বাংলাদেশ মাঠের উত্তর পাশে প্রাকৃতিক কাজ সারতে যাচ্ছিলেন তিনি। এ সময় ইমতিয়াজসহ দু’জন তার পথরোধ করে সঙ্গে থাকা টাকা ও ফোন দিয়ে দিতে বলেন। তারেক দেবে না জানালে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে ইমতিয়াজ পেছন থেকে তার পিঠের নিচের অংশে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। পরে আহতাবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টহলরত পুলিশ তাকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যায়। পরে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রামেক হাসপাতালে পাঠোনো হয়।
এদিকে, বিষয়টি অস্বীকার করে ইমতিয়াজ পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, ওই মাঠে তারেক দু’জনের কাছ থেকে ছিনতাই করছিলো। বিষয়টি টের পেয়ে আমি একাই ঘটনাস্থলে যাই। এ সময় তারেক আমার গলায় ছুরি ধরে। একপর্যায়ে তারেক নিজের ছুরিকাঘাতেই আহত হন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা ফাঁড়ির পুলিশের কাছে তারেক ছিনতাইয়ের বিষয়টি স্বীকার করেছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
তবে ফাঁড়ির দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, তারেককে কেউ ছুরি মেরেছে। আর তিনি ছিনতাই করতে এসেছেন এমন কোনো স্বীকারোক্তিও পাওয়া যায়নি। তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সুস্থ হওয়ার পর তার কাছ থেকে আসল ঘটনা জানা যাবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, ছিনতাইকালে তারেককে ধরে ফেলে ইমতিয়াজ। এ সময় হয়তো তাদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি বা মারধরের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে ছুরিকাঘাতের বিষয়টি আমার জানা নেই।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৮
এসআরএস/আরএ