এ উপলক্ষ্যে সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) ত্রিপুরা রাজ্যের অন্যান্য গীর্জার মতো রাজধানী আগরতলার পার্শবর্তী মরিয়মনগর গীর্জাতেও বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। এদিন সন্ধ্যা থেকেই নানা বয়সী পুরুষ, নারী ও শিশু কিশোর ভিড় জমাতে থাকেন গীর্জাগুলোতে।
সন্ধ্যার পর থেকেই শুরু হয় প্রার্থনা। ঘড়িতে রাত ১২টা বাজতেই গীর্জার ঘন্টা বাজিয়ে বিশেষ প্রার্থনা শুরু করা হয়। প্রার্থনার মাঝে মাঝে যাজকরা বাইবেল থেকে বিশেষ বিশেষ অনুচ্ছেদ পাঠ করে শুনান ধর্মাবলম্বীদের। সেই সঙ্গে সমবেত সঙ্গীতও পরিবেশন করেন গীর্জায় উপস্থিত সকলে।
স্থানীয় সময় রাত প্রায় দুইটা পর্যন্ত চলে এই প্রার্থনা। এরপর কেক কেটে যীশুর জন্মদিন পালন করা হয়। সেই সঙ্গে গীর্জার বাইরে আয়োজন করা হয় হয় নানান রঙের আতস বাজি এবং সাউন্ডবক্সে চালানো হয় সঙ্গীত। এসময় সঙ্গীতের তালে তালে উৎসবে মেতে ওঠেন তরুণ-তরুণীসহ সব বয়সের মানুষের। এরপর গীর্জার পক্ষ থেকে উপস্থিত সকলের মধ্যে কেক এবং কফি পরিবেশন করা হয়।
গীর্জার যাজক জানান, বিশ্বব্যাপি মানুষের কাছে এটি খুশীর দিন। দুই হাজার বছরের বেশী সময় আগে এই দিনে প্রভু যীশুমানুষ রূপে সাধারণ মানুষের ঘরে জন্ম নিয়েছিলেন। এছাড়া এদিনের বিশেষ প্রার্থনায় ত্রিপুরাসহ গোটা বিশ্ববাসীর শান্তি, খুশী ও মঙ্গল কামনা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
প্রতি বছরই বড়দিনের সময় আগরতলাসহ আশেপাশের এলাকা থেকে খ্রিষ্টধর্মের পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষ ভিড় জমান গীর্জা প্রাঙ্গনে। বড়দিন উপলক্ষ্যে প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও এখানে দু'দিন ব্যাপি মেলা বসেছে। রাজ্যের অন্যান্য এলাকার গীর্জাগুলিতেও বড়দিন উপলক্ষ্যে বিশেষ অনুষ্ঠান হচ্ছে। অপর দিকে বড়দিন উপলক্ষ্যে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় বাড়ীঘরসহ নানা হোটেল ও রেস্তোরায় ব্যাক্তিগত উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের।
বাংলাদেশ সময়: ০৭২৫ ঘন্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৮
এসসিএন/এইচএমএস