ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

দল-মত নির্বিশেষে সবার কাছে প্রিয় ছিলেন সৈয়দ আশরাফ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০১৯
দল-মত নির্বিশেষে সবার কাছে প্রিয় ছিলেন সৈয়দ আশরাফ নাগরিক শোকসভায় বক্তব্য দিচ্ছেন মেয়র সাঈদ খোকন-ছবি-বাংলানিউজ

ঢাকা: আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও দলটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ছিলেন বিরল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। দল-মত নির্বিশেষে সব মানুষের কাছেই তিনি অত্যন্ত প্রিয় মানুষ ছিলেন। সততা, নম্রতা, সরলতা, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণতা সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে সর্বজন শ্রদ্ধেয় করে তুলেছিলো। এমন চিত্র রাজনীতির অঙ্গনে বিরলই বটে।

মঙ্গলবার (৮ জানুয়ারি) ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ হানিফ অডিটরিয়ামে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম স্মরণে আয়োজিত এক নাগরিক শোকসভায় বক্তারা একথা বলেন।

শোকসভায় অংশ নিয়ে সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত আস্থাভাজন, বিশ্বাসী ও অনুগত নেতা ছিলেন সৈয়দ আশরাফ।

তার মতো নেতা রাজনৈতিক জীবনে হাতেগোনা কয়েকজন পাওয়া যায়। আওয়ামী লীগের মতো এত বড় একটি দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকেও তার মধ্যে অহংকার ছিল না, রাজনৈতিক কোনো নেতাকর্মী কখনই বলতে পারবেন না সৈয়দ আশরাফ তাদের সঙ্গে কখনও জোরে বা ধমক দিয়ে কথা বলেছেন। তিনি সব সময়ই ছিলেন বিনয়ী। সদ্য যেসব মন্ত্রী-এমপিরা শপথ নিলেন তাদের কাছে সবাই আশা করবে তারাও যেন সৈয়দ আশরাফের মতো মানুষের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠেন তাদের কাজ কথা আচরণের মধ্য দিয়ে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের প্রতিটি জানাজায় বিপুল সংখ্যক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। এ থেকে আমরা বুঝতে পারি তিনি কতটা জনপ্রিয় ছিলেন সবার কাছে।

রাজনৈতিক, সামাজিক, পারিবারিক জীবন তিনি অতিবাহিত করেছেন সততার মাধ্যমে। একজন রাজনৈতিক নেতার কাছে এমনটাই আশা করে সব মানুষ। তাই সৈয়দ আশরাফ অনুকরণীয় হওয়া উচিত সব নেতাদের কাছেই।

আলোচকরা বলেন, দেশে ১/১১ এর সময় থেকে শুরু করে একটি কঠিন সময়ে সৈয়দ আশরাফ আওয়ামী লীগের মতো একটি রাজনৈতিক দলের সাধারণ সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। দীর্ঘ সময়ে সৈয়দ আশরাফ পদ-পদবি ব্যবহার করে ব্যক্তিগত সুবিধা নিয়েছেন বা জ্ঞাতসারে কাউকে অন্যায় সুবিধা দিয়েছেন, এ রকম অভিযোগ কেউ করতে পারবেন না।

সৈয়দ আশরাফ তার সহকর্মী ও সহযোদ্ধাদের যে কথাটি জোর দিয়ে বলতেন, তা হলো রাজনীতি করতে চাইলে দুর্নীতি ছাড়তে হবে। আর দুর্নীতি করলে রাজনীতি ছাড়তে হবে। পদের গরিমা সৈয়দ আশরাফকে কখনও আচ্ছন্ন করেনি। তার ব্যক্তিত্ব পদের চেয়ে বড় ছিল।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকনের সভাপতিত্বে নাগরিক শোকসভায় আরও বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি মোস্তফা গোলাম কুদ্দুছ, পরিবেশ আন্দোলনের সহ-সভাপতি স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান।

এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সচিব শাহাবুদ্দিন খান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর মো. জাহিদ হোসেন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (ডা.) শেখ সালাহ্উদ্দিনসহ কাউন্সিলররা।

বাংলাদেশ সময়: ০০৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০১৯
এসএম/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।