গত ২৬ নভেম্বর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, মরোক্ক থেকে স্পেন যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবি হয়েছে। সেখানে ৪ জন অভিবাসী নিহত হয়েছেন ১৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন আর জীবিত উদ্ধার হয়েছেন ৫৮ জন।
সে ঘটনায় বড়লেখার দুই যুবক নিখোঁজ হয়েছেন বলে তাদের পরিবার দাবি করেছে। নিখোঁজ জাকির বড়লেখা উপজেলার দাসেরবাজার ইউনিয়নের সুড়িকান্দি গ্রামের আফতাব আলীর ছেলে ও জালাল উপজেলার নিজবাহাদুরপুর ইউনিয়নের পকুয়া গ্রামের জোয়াদ আলীর ছেলে।
তাদের পরিবার জানিয়েছে, গত ২৬ নভেম্বর দিবাগত রাতে নৌকায় মরোক্ক থেকে স্পেন যাওয়ার পথে ভূমধ্য সাগরে যে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে সেটিতে জাকির ও জালাল ছিলেন। নৌকাডুবির পর থেকে জাকির ও জালালের কোনো খোঁজ মিলছে না। তারা দু’জন এখনো বেঁচে আছেন কিনা মারা গেছেন সে ব্যাপারে সঠিক কোনো তথ্য বলতে পারছেন না তারা।
নিখোঁজ জাকিরের বাবা আফতাব আলী বাংলানিউজকে জানান, ‘জাকির বেঁচে আছে না মারা গেছে আমরা কিছু জানিনা। স্পেনের হাসপাতালে আত্মীয়-স্বজনরা খোঁজ করেছেন। কিন্তু তাকে পাননি।
জাকিরের চাচাতো ভাই সাইফুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, কেউ কেউ বলছেন জাকির নাকি মারা গেছে। কিন্তু আমরা সেখানকার হাসপাতালে খোঁজ করিয়েছি। তাকে পাওয়া যায়নি। আমাদের ধারণা, সে হয়তো বেঁচে আছে।
এদিকে নিজবাহাদুরপুর ইউনিয়নের পকুয়া গ্রামের নিখোঁজ জালাল উদ্দিনের ভাই জিলাল উদ্দিন বলেন, জালাল ৩ বছর আগে সৌদিতে যান। তার আরও দুই ভাই সৌদিতে থাকেন। তাদের সঙ্গে থাকতেন জালাল। সেখান থেকে তিনি কয়েক মাস আগে স্পেন যাওয়ার উদ্দেশে মরোক্কতে যান। সেখান থেকে স্পেন যাওয়ার জন্য স্থানীয় দালালের মাধ্যমে ২৬ নভেম্বর নৌকায় ওঠেন। সেই নৌকা ভূমধ্যসাগরে ডুবে গেছে বলে খবর পেয়েছি। এর পর আর জাকিরের সঙ্গে আমাদের কোনো যোগাযোগ নেই।
এ ব্যাপারে বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়াছিনুল হক বাংলানিউজকে বলেন, এ ব্যাপারে কেউ আমাদের কাছে অভিযোগ করেনি। আমরা খোঁজ নিয়ে দেখব।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘন্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৯
আরএ