ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘মুজিববর্ষ’ উদযাপনে দেশে-বিদেশে ব্যাপক প্রস্তুতি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০১৯
‘মুজিববর্ষ’ উদযাপনে দেশে-বিদেশে ব্যাপক প্রস্তুতি

ঢাকা: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে দেশে-বিদেশে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। ২০২০ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী। 

এ উপলক্ষে ইতোমধ্যে আগামী বছরকে ‘মুজিববর্ষ’ ঘোষণা করেছে সরকার। ‘মুজিববর্ষ’ উদযাপনে বছরব্যাপী অনুষ্ঠানমালার নানা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

বিশ্বের ১৯৫টি দেশে অনুষ্ঠানমালা আয়োজনের পাশাপাশি ঢাকার আয়োজনে যোগ দিতে আসবেন বিশ্বনেতারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, আগামী বছর ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ১০ জানুয়ারি দেশজুড়ে শুরু হবে কাউন্টডাউন বা ক্ষণগণনা। আগে বাস্তবায়ন কমিটি জানায়, ১০০ দিন আগে অর্থাৎ ৮ ডিসেম্বর জন্মশতবার্ষিকীর কাউন্টডাউন শুরু হবে।  

তবে পরবর্তীতে ১৯৭২ সালে পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর বঙ্গবন্ধু যেদিন (১০ জানুয়ারি) ঢাকায় ফিরে এসেছিলেন, সেই ঐতিহাসিক দিনটিকেই কাউন্টডাউনের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে।  

জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ১৭ মার্চ জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ড ময়দানে বছরব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হবে। উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন দেশ-বিদেশের অতিথিরা।

ঢাকায় আসছেন বিশ্বনেতারা: 
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বিশ্বনেতাদের ঢাকায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। প্রায় ৩৮ জন বিশ্বনেতা ঢাকায় আসতে পারেন। আমন্ত্রিত বিশ্বনেতাদের মধ্যে রয়েছেন- ভারতের  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন,  জার্মান চ্যান্সেলর  অ্যাঙ্গেলা মেরকেল, ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদ, ভুটানের রাজা জিগমে নামগিয়েল ওয়াংচুক প্রমুখ।  

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি জানিয়েছে, ঢাকায় সারা বছর ধরে অনুষ্ঠান হবে। বছরব্যাপী এসব অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন বিশ্বনেতারা।

লন্ডন-নিউইয়র্কে কর্মসূচি: 
দেশের বাইরেও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। বিদেশের বাংলাদেশ মিশন এসব কর্মসূচি পালিত হবে। লন্ডন, নিউইয়র্ক, টোকিও, দিল্লি মিশনে ব্যাপকভাবে কর্মসূচি পালিত হবে। লন্ডনের অ্যালবার্ট হলে ঘটা করে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।  

এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড, কলাম্বিয়া ও লন্ডন স্কুল অব ইকনোমিক্সেও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করা হবে।

তথ্যচিত্র নির্মাণ-বই প্রকাশ: 

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে তথ্যচিত্র নির্মাণ ও বইপ্রকাশের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।  আগামী বছর বাংলা একাডেমি থেকে বঙ্গবন্ধুর জীবন-কর্মসহ নানা দিক নিয়ে ১০০টি  বই প্রকাশ করা হবে। এছাড়া ‘বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ১২ টি ভাষায় অনুবাদ করা হবে।  

বিশ্বের খ্যতনামা প্রকাশনা থেকে এসব বই প্রকাশ করা হবে। নানা ভাষায় অনূদিত হবে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর জীবনের ওপর ভিত্তি করে বেশ কয়েকটি তথ্যচিত্র নির্মাণেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

মেমোরিয়াল লেকচার: 
আগামী বছর ১৭ মার্চ থেকে বছরব্যাপী মেমোরিয়াল লেকচারের আয়োজন করা হয়েছে। জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কমিটি ও সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) যৌথভাবে এই মেমোরিয়াল লেকচারের আয়োজন করবে।

বিষয়ভিত্তিক এই লেকচারে বিশ্বের খ্যাতনামা বিশ্ব নেতা, বুদ্ধিজীবী, লেখক, অধ্যাপকরা অংশ নেবেন।

এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব ও প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল  আবদুল নাসের চৌধুরী  বাংলানিউজকে বলেন, বঙ্গবন্ধুর  জীবনের আদর্শ  আমরা তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে চাই। বঙ্গবন্ধুর  আত্মত্যাগ, অর্জন, জীবন ও সংগ্রাম এবং আদর্শ সবার কাছে তুলে ধরতে বছরব্যাপী জন্মশতবার্ষিকী পালনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে আমরা বঙ্গবন্ধুর জীবনের নানা দিক তুলে ধরে চাই। দেশে-বিদেশে নানা কর্মসূচি পালনেরও উদ্যোগ নিয়েছি আমরা।  

‘জন্মশতবার্ষিকী পালনে আমাদের ৮টি উপকমিটি কাজ করছে। এর মধ্যে  আলোচনা সভা, সেমিনার, স্মারক বক্তৃতা, তথ্যচিত্র নির্মাণ, বই প্রকাশ ইত্যাদি রয়েছে,’ যোগ করেন তিনি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৯
টিআর/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।