ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

১৫ ডিসেম্বর প্রকাশ পাচ্ছে রাজাকারের তালিকা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৯
১৫ ডিসেম্বর প্রকাশ পাচ্ছে রাজাকারের তালিকা রাজাকারের তালিকা প্রকাশ ১৫ ডিসেম্বর/প্রতীকী ছবি

ঢাকা: নানা জল্পনা আর কল্পনা শেষে অবশেষে প্রকাশ পেতে যাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী এবং গণহত্যাকারী রাজাকার, আল বদর ও আল শামসদের তালিকা। আগামী ১৫ ডিসেম্বর (রোববার) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ তালিকা প্রকাশ করবে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে বাংলানিউজকে বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরেই মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারীদের তালিকা প্রণয়নের কাজ করছি। অবশেষে রোববার (১৫ ডিসেম্বর) এ তালিকা প্রকাশ করা হবে।

তবে এটাই চূড়ান্ত তালিকা নয়। পর্যায়ক্রমে আরো তালিকা প্রকাশ করা হবে।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, রোববার বেলা ১১টায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে রাজাকারদের প্রথম তালিকা প্রকাশ করবেন।

এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারীদের তালিকার প্রসঙ্গে বলেছিলেন, মুক্তিযুদ্ধে জামায়াত রাজনৈতিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে বিরোধিতা ও গণহত্যা, ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিল। এদের একটি তালিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ছিল। কারণ তাদের রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে তখন ভাতা দেওয়া হতো। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর নিজামী-মুজাহিদরা সেই তালিকা খালেদা জিয়ার সহযোগিতায় সরিয়ে ফেলে। আমরা মুক্তিযুদ্ধের সেই বিরোধিতাকারী রাজাকার, আল বদর, আল সামসের তালিকা তৈরির কাজ শুরু করেছি। জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তালিকা তৈরি করে পাঠাতে।

চলতি বছরের ২১ মে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে বেতনভোগী রাজাকারদের তালিকা সংগ্রহ করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর জন্য জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) কাছে চিঠি প্রেরণ করা হয়। এর এক সপ্তাহ পর ২৮ মে আবারও চিঠি পাঠিয়ে এ তালিকা দ্রুত পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির গত ১ ডিসেম্বরের বৈঠকে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতারীদের তালিকা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এর আগে গত ২৫ আগস্ট মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় তালিকা তৈরির বিষয়টি সংসদীয় কমিটিকে জানায়।

জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারীদের তালিকা এখনও পূর্ণাঙ্গ নয়। তবে মন্ত্রণালয়ের কাছে যে তালিকা গেছে তার মধ্যে সর্বোচ্চ মেহেরপুর জেলার ১৬৯ জনের নাম পাওয়া গেছে। এর পাশাপাশি নড়াইলে ৫০ জন, শরীয়তপুরে ৪৪ জন, চাঁদপুরে ৯ জন এবং বাগেরহাটে একজনের নাম পাওয়া গেছে। যাদের প্রত্যেকেই মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করার ‘পুরস্কার’ হিসেবে পশ্চিম পাকিস্তান সরকারের কাছ থেকে নিয়মিত বেতন-ভাতা পেতেন।

মন্ত্রণালয়ের কাছে আসা তথ্য অনুযায়ী, শেরপুর, মাগুরা, গাইবান্ধা, খাগড়াছড়িতে কোনো বেতনভোগী রাজাকার ছিল না।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৯
ডিএন/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।