ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

অবৈধ ডিটিএইচ’র বিরুদ্ধে অভিযান শুরু ১ জানুয়ারি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৯
অবৈধ ডিটিএইচ’র বিরুদ্ধে অভিযান শুরু ১ জানুয়ারি

ঢাকা: অবৈধ ডিটিএইচের (ডিরেক্ট টু হোম) বিরুদ্ধে আগামী বছরের শুরু (১ জানুয়ারি) থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, ১৬ ডিসেম্বর থেকে অভিযান পরিচালনা করার কথা থাকলেও এর সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে ২৬ দেশের ৩৬ জন সাংবাদিকের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি একথা জানান।



এসময় ২০টি দেশের ৩৬ জন সাংবাদিক ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশে যে সব অবৈধ ডিটিএইচ রয়েছে সেগুলো সরিয়ে নিতে হবে। কারণ অবৈধ ডিটিএইচগুলো কোনোভাবেই অনুমোদিত নয়। অবৈধ ডিটিএইচের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে এক হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। এজন্য এই অবৈধ ডিটিএইচের বিরুদ্ধে আমরা ১৬ ডিসেম্বর থেকে অভিযান শুরু করবো বলেছিলাম।  

‘যেহেতু আগামীকাল ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস এবং আমাদের অন্য কাজের সুবিধার্থে এটি ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বাড়াচ্ছি। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে অভিযানে নামবো। প্রথমত ডিটিএইচ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য এবং একই সঙ্গে ডিটিএইচ সংযোগ যারা লাগিয়েছেন ও ব্যবহার করছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পহেলা জানুয়ারি থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা শুরু করবো। ’

হাছান মাহমুদ বলেন, প্রতিবছর বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে পরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সাংবাদিকদের বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানায়। এবছরও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সাংবাদিক ও কলামিস্টদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ২০ দেশের ৩৬ জন সাংবাদিক আজ এখানে এসেছে। তারা আলজেরিয়া, জার্মানি, ব্রাজিল, চেক রিপাবলিক, ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া, নেপাল, চীন, ভারত, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইনস, পর্তুগাল, পোল্যান্ড, মালদ্বীপ, কোরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য, ইউএই প্রভৃতি দেশ থেকে এসেছেন।  

‘৮ দিনের এই সফরের দু’দিনের জন্য তারা সুন্দরবন যাবেন, গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ দর্শনে যাবেন। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখবেন। একইসঙ্গে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর নামে গড়া বঙ্গবন্ধু মিউজিয়ামে যাবেন। বিজয় দিবসের দিন তারা প্যারেড পরিদর্শনও করবেন। ’
তিনি বলেন, তাদের সঙ্গে আজ অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তারা নানা প্রশ্ন করেছেন। সে প্রশ্নের উত্তর আমরা দিয়েছি। আমরা তাদের অনুরোধ জানিয়েছি বর্তমানে বাংলাদেশের ইমেজকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার জন্য।

‘বাংলাদেশ আজ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্ন পূরণে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। ফলে বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত হচ্ছে। সামাজিক উন্নয়ন সূচক মানবতা উন্নয়ন সূচকসহ সব সূচকে পাকিস্তানসহ আশপাশের অনেক দেশকে অতিক্রম করেছে। গত সাড়ে ১০ বছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সূচক সব দেশের ওপরে। বাংলাদেশ এমন এক দেশ যেখানে পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার অবস্থিত, এটা তাদের অবহিত করেছি। একইসঙ্গে পৃথিবীর অন্যতম ম্যানগ্রোভ বন যেখানে রয়েল বেঙ্গল টাইগার রয়েছে সে বিষয়েও তাদের জানানো হয়েছে। ’

মন্ত্রী আরও বলেন, এক কোটি ২০ লাখের বেশি মানুষ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে আছে। তারা শুধু বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন না, বিশ্ব অর্থনীতিতেও তাদের অবদান রয়েছে তা বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে বলেছি। তাদের বলেছি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে সম্ভাবনা রয়েছে তা দিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশে রূপান্তরিত হওয়ার লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম- সেটিও উপস্থাপনের জন্য তাদের বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৯
জিসিজি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।