ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘রাজাকার-মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা ২৬ মার্চ’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৯
‘রাজাকার-মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা ২৬ মার্চ’ সভায় বক্তব্য রাখছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের ও রাজাকারের তালিকা ২৬ মার্চ ঘোষণা করা হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা জাতীয় পরিচয়পত্রসহ যেন দিতে পারি এ প্রত্যাশা নিয়ে আমরা কাজ করছি।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর মিরপুরে জয়যাত্রা ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘স্যাটেলাইট টেলিভিশনের অগ্রযাত্রায় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর অবদান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, রাজাকার ও মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা একই তারিখে প্রকাশ করবেন এর কারণ কি, আমার কাছে অনেকে জানতে চেয়েছেন।

এ জাতির জন্য দুর্ভাগ্য আমরা বিজয় দিবস পালন করলাম। একবারও কেউ উচ্চারণ করে নাই, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসে কি বর্বর হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল। ওই পাষণ্ডরা আমাদের মা-বোনদের ওপর কি পাশবিক অত্যাচার চালিয়েছিল। কীভাবে অগ্নিসংযোগ করেছিল। কীভাবে লুট করেছিল।

নতুন প্রজন্মের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, নতুন প্রজন্ম জানে না। তারা জানলে বুঝতো ১৯৭১ সালে কি ঘটেছিল? তাহলে তারা ওদেরকে (রাজাকারদের) ঘৃণা করতে শিখতো। নতুন প্রজন্ম সঠিক ইতিহাস জানলে তাদের ভেতর দেশের প্রতি প্রবল ভালোবাসা সৃষ্টি হতো।

তিনি বলেন, আমি দীর্ঘদিন যাবত দাবি করে আসছি পাঠ্যসূচিতে যে পরিমাণ স্থানে মুক্তিযোদ্ধাদের গৌরবের কথা লেখা থাকবে ঠিক সেই ভাবে হানাদার বাহিনী, জামায়াত ইসলামী, আলবদর, আল শামসদের কথাও লেখা থাকবে। রাজাকারদের ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডের কথা লেখা থাকতে হবে।  

তিনি আরও বলেন, বিচার কীভাবে হয়। দুই পক্ষের কথা শুনে বিচারক সিদ্ধান্ত নেন। ঠিক সেভাবেই শুধুমাত্র আমাদের (মুক্তিযোদ্ধাদের) কথাই জানবে। তাহলে তো নতুন প্রজন্মদের বিচার সঠিক হবে না, একতরফা হবে। একই সঙ্গে  রাজাকার ও মুক্তিযোদ্ধাদের কথা সঠিকভাবে নতুন প্রজন্মের জানতে হবে। তারপর (নতুন প্রজন্ম) তারা সিদ্ধান্ত নেবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে নাকি স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রত্যক্ষ বিরোধীতাকারীদের পক্ষে। তখনই তারা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবে এবং তাদের মধ্যে দেশপ্রেম আরও দৃঢ় হবে।

জয়যাত্রা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হেলেনা জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জয়যাত্রা টেলিভিশনের ভাইস চেয়ারম্যান জি এম শাজাহান, সংসদ সদস্য (এমপি) মোস্তাক আহম্মেদ রবি প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ০০৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৯
এমএমআই/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।