ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পদ্মাসেতুর পাশে বিদ্যুৎলাইনের কাজে জার্মান ড্রাইভিং ইউনিট

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৯
পদ্মাসেতুর পাশে বিদ্যুৎলাইনের কাজে জার্মান ড্রাইভিং ইউনিট কার্গো প্লেন থেকে নামানো হচ্ছে ড্রাইভিং ইউনিটটি। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ঢাকা-খুলনা, ঢাকা-মাওয়াসহ পুরো দক্ষিণবঙ্গের বিদ্যুতের লাইন টানা হবে পদ্মাসেতুর পাশ দিয়ে। এজন্য সাতটি পিলার নির্মাণ করতে হবে, পাইল থাকবে মোট ৩৬টি। পদ্মাসেতুর মতো এই পিলার নির্মাণও বেশ চ্যালেঞ্জিং। ৪০০ কেভি ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎ ট্রান্সমিশন লাইনের কাজটি করে দিচ্ছে সেতু বিভাগ।

বিদ্যুৎলাইনের টাওয়ার নির্মাণের জন্য সম্প্রতি জার্মান প্রতিষ্ঠান মেনেক (MENCK) থেকে কার্গো প্লেনের মাধ্যমে ৫৮ দশমিক ১৬৭ টন ওজনের ড্রাইভিং ইউনিট ঢাকায় আনা হয়। ইতোমধ্যে পদ্মাসেতু এলাকায় নেওয়া হয়েছে সেটি।

ড্রাইভিং ইউনিটটি বসাতে সময় লাগবে সাতদিনের মতো এবং এটি দিয়ে আগামী তিন মাসের মধ্যে ৪০০ কেভিএ বিদ্যুৎলাইনের অবশিষ্ট সবগুলো পাইল ড্রাইভ সম্পন্ন করা হবে।

প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী (মূলসেতু) দেওয়ান মোহাম্মদ আব্দুল কাদের বাংলানিউজকে বলেন, পদ্মাসেতুর পাশ দিয়ে বিদ্যুৎলাইন টানা হবে। এই কাজও আমরা করবো। এজন্য জার্মানি থেকে বিশাল ড্রাইভিং ইউনিট আনা হয়েছে।
               
পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের মূলসেতুর পাইল ড্রাইভিংয়ের জন্য মোট তিনটি হ্যামার জার্মানির মিউনিখ থেকে আনা হয়েছিল। এগুলোর ক্ষমতা ছিল যথাক্রমে ১৯০০, ২৪০০ ও ৩৫০০ কেজি। সেতুর মোট ২৬২টি পাইল এ তিনটি হ্যামার দিয়ে ড্রাইভ করা হয়েছে। ১৯০০ ও ৩৫০০ কেজি হ্যামার দু’টি ভাড়ায় আনায় তা ফেরত পাঠানো হয়েছে। ২৪০০ কেজি হ্যামার দিয়ে সেতুর দুই কিলোমিটার ভাটিতে ৪০০ কেভিএ বিদ্যুৎলাইন নির্মাণের জন্য পাইল ড্রাইভিং কাজ চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৯
এমআইএস/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।