ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সব খাতে ইটের পরিবর্তে ব্লকের ব্যবহার চায় টিআইবি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৯
সব খাতে ইটের পরিবর্তে ব্লকের ব্যবহার চায় টিআইবি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)

ঢাকা: সরকারি সব প্রকল্পের নির্মাণ কাজে ইটভাটায় উৎপাদিত ইটের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব ব্লক উৎপাদন ও ব্যবহারকে আংশিকভাবে বাধ্যতামূলক এবং পর্যায়ক্রমে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের মধ্যে তা ১০০ শতাংশে উন্নীত করার জন্য সরকারের ঘোষণাকে উৎসাহব্যঞ্জক মনে করছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। তবে দূষণ মোকাবিলায় কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে এ সিদ্ধান্তের কার্যকর প্রয়োগ এবং একইসঙ্গে বেসরকারি সব নির্মাণ কার্যক্রমেও পরিবেশবান্ধব ব্লকের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের পরিচালক শেখ মনজুর-ই-আলমের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি এ দাবি জানায়।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এতে বলেন, বাংলাদেশে বায়ুদূষণ যে মাত্রায় পৌঁছেছে, তা থেকে দেশের পরিবেশ ও নাগরিকদের সুরক্ষা দেওয়ায় পরিবেশবান্ধব ব্লক ব্যবহারের সিদ্ধান্ত উৎসাহব্যঞ্জক।

তবে এর সুফল কতটুকু পাওয়া যাবে তা নির্ভর করে সিদ্ধান্তটির কার্যকর প্রয়োগের ওপর।

তিনি বলেন, এখনই সব ধরনের সরকারি-বেসরকারি কাজে পোড়ামাটির ইটের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে বায়ুমান উন্নয়নে পরিবেশবান্ধব সব ধরনের ইট ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার নিশ্চিতে দ্রুত পদক্ষেপের বিকল্প নেই।

ড. ইফতেখারুজ্জামান মনে করেন, প্রচলিত ইটভাটার বায়ু দূষণ ও পরিবেশগত বিপর্যয়ের ক্ষতি মোকাবিলার পাশাপাশি ইট উৎপাদনে কর্মরত শ্রমিকদের অমানবিক জীবন রক্ষায় ভাটাগুলো বন্ধে অনতিবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে তা বাস্তবায়নে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সরকারি প্রকল্পে ইটের ব্যবহার কমবে মাত্র ৩০ শতাংশ। যার মাধ্যমে দূষণ নিয়ন্ত্রণ কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে অর্জিত হবে না। শুধু তাই নয়, বেসরকারি নির্মাণ খাতেও পরিবেশবান্ধব ব্লক ব্যবহার আইন করে বাধ্যতামূলক করা না হলে এবং ভাটায় পোড়ানো ইটের তুলনায় পরিবেশবান্ধব ব্লক উৎপাদন, সরবরাহ এবং ব্যবহারে প্রণোদনা দেওয়ার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে বায়ুদূষণ মোকাবিলায় সরকারি এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাশিত ফল নাও দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন ড. জামান।

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের বায়ুদূষণ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক অবনতিতে। রাজধানী ঢাকা বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দূষিত বায়ুর শহরে পরিণত হয়েছে। বায়ু দূষণের ব্যাপ্তি ঢাকা নগরী ছাড়িয়ে অন্যান্য শহরগুলোতেও বিস্তারের পরিপ্রেক্ষিতে জনস্বাস্থ্যের চরম অবনতির ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে।

বিশেষ করে, শীতকাল তথা শুষ্ক মৌসুমে বায়ুদূষণের প্রধান উৎস চুল্লিভিত্তিক ইটভাটা এবং অপরিকল্পিত উন্নয়ন কার্যক্রম।

বায়ুদূষণের কারণে ক্রমবর্ধমান পরিবেশ বিপর্যয় ও জনস্বাস্থ্যের হুমকি মোকাবিলায় সরকারি এবং বেসরকারি সব নির্মাণ কাজে পরিবেশবান্ধব ব্লক ব্যবহারকে দ্রুত বাধ্যতামূলক ঘোষণা করে চুল্লিভিত্তিক সব ইটভাটা নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব ব্লক উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে সমন্বিত, কার্যকর ও প্রণোদনামূলক নিয়ন্ত্রণ কাঠামো প্রণয়নের জোর দাবি জানিয়েছে টিআইবি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৯
ইইউডি/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।