ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

১০ জানুয়ারি বাণিজ্যমেলা বন্ধ রাখতে চান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০২০
১০ জানুয়ারি বাণিজ্যমেলা বন্ধ রাখতে চান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ঢাকা: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর কাউন্টডাউন শুরুর দিন ১০ জানুয়ারি ২৫তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা একদিনের জন্য বন্ধ রাখার অনুরোধ জানানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর কাউন্টডাউন যেদিন শুরু হবে, সেদিন দেশের ১২ সিটি করপোরেশনের ২৮ স্পট, ৫৩টি জেলা ও দুইটি উপজেলায় মোট ৮২টি কাউন্টডাউন ঘড়ি বসানো হবে।

বুধবার (০১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সস্মেলন কক্ষে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সুপারিশের আলোকে গঠিত নিরাপত্তা উপ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের আজকের সভায় দীর্ঘক্ষণ আলোচনায় কয়েকটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে কমিটিতে একজন সদস্য নিয়েছি, যিনি আগামী সভা থেকে থাকবেন। এই কাউন্টডাউন উদ্বোধনের দিন যেসব অনুষ্ঠান হবে, সেসবের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে সেনাবাহিনী। তাদের সহযোগিতায় থাকবে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী। প্রাথমিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আমাদের ১২ সিটি করপোরেশনের ২৮টি পয়েন্ট, বিভাগীয় শহরগুলো, ৫৩টি জেলা, দুইটি উপজেলা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েসহ মোট ৮২টি স্পটে কাউন্টডাউন ঘড়ি বসানো হবে। এসব স্থানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। একইসঙ্গে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে। এছাড়া কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সেখানকার স্থানীয় জনগণ, জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদসহ প্রশাসন ও নিরাপত্তা কর্মীরা বিষটি দেখাশোনা করবেন। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ১০ জানুয়ারি প্যারেড গ্রাউন্ডের কাউন্টডাউন অনুষ্ঠান এএফডি নিরাপত্তা সমন্বয় করবে। এই অনুষ্ঠানে দুই হাজার আমন্ত্রিত অতিথি ও ১০ হাজার দর্শক আসবেন। দর্শকরা যারা যাবেন, তাদের মোবাইল আ্যাপসের মাধ্যমে নাম রেজিস্ট্রেশন করে যেতে হবে। এদিকে, এই অনুষ্ঠান ঘিরে ১০ জানুয়ারি বাণিজ্যমেলা একদিনের জন্য বন্ধ রাখার অনুরোধ জানাবো। অনুষ্ঠান যাতে বিভিন্ন স্থান থেকে জনসাধারণ দেখতে পারে এজন্য টিভি স্ক্রিন বসানো হবে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এসব অনুষ্ঠানে সম্পৃক্ত থাকবেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়জুড়ে থাকা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন হতে যাচ্ছে। তার জন্মশতবার্ষিকী ১৭ মার্চ। এর আগে কাউন্টডাউনের একটি অনুষ্ঠান করতে যাচ্ছি। ১০ জানুয়ারি প্যারেড গ্রাউন্ডে বিকেল ৩টায় মুজিববর্ষের কাউন্টডাউন অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করবেন। অনুষ্ঠানটি উদযাপন করা হবে বঙ্গবন্ধু যেখানে যেভাবে প্লেনে করে এসেছিলেন, ঠিক সেখানে সেভাবেই। সেখানে বঙ্গবন্ধু যেরকম প্লেনে করে এসেছিলেন, সেরকম একটি প্লেনও রাখা হবে। সেদিন সারাদেশেই অনুষ্ঠান হবে। যারা অনুষ্ঠান করতে আগ্রহী, তারা মুখ্য সমন্বয়কের অনুমতি নিয়ে করতে হবে।

তিনি বলেন, এ উপলক্ষে আজকের এই সভা প্রথম। কাউন্টডাউন অনুষ্ঠানটি যাতে নির্বিঘ্ন, নিরাপদ হয়, সেজন্যই এ সভা। আগামীতে আরও করব। আমাদের মূল যে অনুষ্ঠানটি হবে ১৭ মার্চ, সেখানে কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল, সেরকম কয়েকজনেরও আসার সম্ভাবনা আছে। পরবর্তীকালে আমাদের মুখ্য সমন্বয়ক এ বিষয়ে জানিয়ে দেবেন। নিরাপত্তার স্বার্থে যখন প্রয়োজন হবে, তখনই আমরা সভা করব।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৬ ঘণ্টা, জানুয়রি ০১, ২০২০
জিসিজি/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।