ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

চার বছরের মধ্যে ২০১৯ সালে সর্বোচ্চ সীমান্তহত্যা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২, ২০২০
চার বছরের মধ্যে ২০১৯ সালে সর্বোচ্চ সীমান্তহত্যা

ঢাকা: গত চার বছরের মধ্যে সীমান্তে ২০১৯ সালে সর্বোচ্চ সংখ্যক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বেসরকারি হিসাবে গতবছর সীমান্তহত্যার শিকার ৪৩ জন বলা হলেও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হিসেবে এ সংখ্যা ৩৫ জন।

বিজিবি মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম বলেন, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের হিসাবে এ হত্যার সংখ্যা আরো কম। আমাদের হিসাবে গতবছর সীমান্তহত্যার সংখ্যা ৩৫।

গত চার বছরের মধ্যে এ সংখ্যা সর্বোচ্চ, আমরা বিএসএফকে এ বিষয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়েছি।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাজধানীর পিলখানায় বিজিবি সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

গত ২৫-৩০ ডিসেম্বর নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলনের বিষয়ে জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘যৌথ আলোচনার দলিল’ স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে ভারতের নয়াদিল্লিতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মধ্যে মহাপরিচালক পর্যায়ে ৪৯তম সীমান্ত সমন্বয় সম্মেলন শেষ হয়েছে। সীমান্তহত্যার বিষয়ে বিএসএফ ডিজিকে গভীর উদ্বেগের কথা জানিয়েছি।

আমরা বলেছি ২০১৯ সালে সীমান্তে মৃত্যুর সংখ্যা বিগত ৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। সীমান্তহত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ডিজি বিএসএফকে অনুরোধ করা হয়েছে। বিএসএফ প্রধান আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। তারা এ ব্যাপারে আরও সতর্ক থাকার কথা বলেছেন।

বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় ভারতের অভ্যন্তরে ফেনসিডিল ও ইয়াবার কারখানা পরিচালনার বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছে। এ ধরনের তথ্য বিএসএফকে জানানো হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়।

ভারতে নাগরিক আইন সংকটের প্রভাবে রোহিঙ্গাদের মতো অবৈধ অনুপ্রবেশ ঘটলে বিজিবি গুলি করবে কিনা জানতে চাইলে বিজিবি প্রধান বলেন, সীমান্তে বিজিবি কখনও আগে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে না। অতীতে দেখা গেছে যে চোরাকারবারিদের দ্বারা বিজিবি হামলার শিকার হয়ে হতাহত হয়েছে। সীমান্তে আত্মরক্ষার্থে ছাড়া বিজিবি কখনও গুলি করে না, তবে অবৈধভাবে কাউকে ঢুকতেও দেওয়া হবে না।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ সালে সীমান্তে নিহত হয়েছিলেন ৬৬ জন। ২০১০ সালে ৫৫ জন, ২০১১ সালে ২৪, ২০১২ সালে ২৪, ২০১৩ সালে ১৮, ২০১৪ সালে ২৪, ২০১৫ সালে ৩৮, ২০১৬ সালে ২৫, ২০১৭ সালে ১৭ ও ২০১৮ সালে ৩ জন নিহত হন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০২০
পিএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।