বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সন্তানতুল্য কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে সহায়তা স্বরূপ নগদ পাঁচ হাজার টাকা ও দু’টি কম্বল দেওয়া হয় বৃদ্ধা মমিরনকে। সেগুলো তার হাতে তুলে দেন ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ কবির।
অপ্রাত্যাশিত এ প্রাপ্তিতে পুলিশ সুপারের সহায়তার অর্থ ও কম্বল পেয়ে বৃদ্ধার আনন্দ-অশ্রুসিক্ত চোখে বলেন, একজন টাকা গুনে দেওয়ার কথা বলে তার কাছ থেকে টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। আর যেন কেউ এমন কারো খপ্পরে না পড়ে। এসময় দু’হাত তুলে পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্টদের জন্য দোয়া করেন বৃদ্ধা।
কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম বাংলানিউজকে বলেন, ভূরুঙ্গামারীতে বৃদ্ধা মমিরন নেছার কাছ থেকে প্রতারনা করে বিধবা ভাতার ১৫শ’ টাকা নিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি আমার নজরে আসে। তাৎক্ষণিকভাবে ভূরুঙ্গামারী থানার ওসিকে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা পরিষদ চত্বরের সমাজসেবা অফিস থেকে তিন মাসের বয়স্ক ভাতার ১৫শ’ টাকা তোলেন বৃদ্ধা মমিরন। পরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এক প্রতারক যুবক গুনে দেওয়ার কথা বলে টাকাগুলো নিয়ে চলে দেয়।
মমিরন বেগম ভূরুঙ্গামারী উপজেলার আন্ধারীঝাড় ইউনিয়নের চর বারুইটারী গ্রামের মৃত ওমর আলীর স্ত্রী। জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী তার জন্ম ১৯৩৭ সালে। বয়সের ভারে ঠিক মতো কথা বলতে পারেন না তিনি। স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে তিনি ছেলের সঙ্গে আন্ধারীঝাড় ইউনিয়নের চর ধাউরারকুঠি গ্রামে থাকেন।
বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পর প্রশাসনসহ বেশ কয়েকটি সামাজিক সংগঠন বৃদ্ধাকে সহযোগিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২০
এফইএস/এফএম