শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে নগরীর মতিহার থানার হনুফার মোড় এলাকায় নিজ বাড়িতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। বাদ আছর তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
৭৬ বছর পেরোনো আবু আহমেদ দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। ডায়াবেটিস, অ্যাজমা, হাইপ্রেসার, কিডনিসহ নানা রোগে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় সর্বশেষ ১১ দিন ধরে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বাড়িতে নিয়ে আসা হয় তাকে।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে আবু আহমেদের ছেলে মো. সেলিম বলেন, শুক্রবার সকালে হঠাৎ করে বাবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তার পাশে গেলে আমাকে তার পা-টিপে দিতে বলেন। তখন তিনি জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিচ্ছিলেন। এর কিছুক্ষণ পরেই আমার চোখের সামনে বাবা মারা যান।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে একটি পরিচিত নাম ছিলেন আবু আহমেদ। সবাই ভালোবেসে ডাকেন ‘আবু ভাই’। বিশ্ববিদ্যালয়ের থাকাকালীন তিনি সত্তর, আশি, নব্বই দশকের আন্দোলনের সাক্ষী হয়ে আছেন। চোখের সামনে দেখেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা আন্দোলনের উত্থান ও পতন। শুধু আড্ডাই নয়, শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক আলাপ-আলোচনা ও পরিকল্পনার অন্যতম কেন্দ্র ছিল তার পরিচালিত ‘আবুর ক্যান্টিন’। ২০১৫ সালে ক্যান্টিন বন্ধ হয়ে যায়।
তিনি শুধু ক্যান্টিন বা খাবারের জন্য পরিচিত ছিলেন না। একজন উদার মানুষও ছিলেন। শিক্ষার্থীদের সহায়তা করেছেন নানাভাবে। আর্থিক সংকট থাকলে শিক্ষার্থীদের বিনা পয়সায় খাইয়েছেন। ছাত্র রাজনীতিতে জড়িত শিক্ষার্থীদের প্রিয় পাত্র ছিলেন এ মানুষটি। তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সাহায্য করতেন নানাভাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২০
এসএইচ