বুধবার (২২ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন। এসময় অধিবেশনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।
হারুণ অর রশিদ বলেন, এই ভাষণ কোনোভাবেই সংবিধানের মূল স্প্রিটের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। সংবিধান যারা প্রণয়ন করেছিলেন তারা যদি জীবিত থাকতেন তাহলে তারা জ্ঞান হারিয়ে ফেলতেন। এখানে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর আলোচনা চলছে, অথচ সংসদের অনেক চেয়ার শূন্য। রাষ্ট্রপতির ভাষণের এই দলিলটি একেবারেই সত্য-মিথ্যা সংমিশ্রিত দলিল। রাষ্ট্রপতি তার বক্তব্যে সব দলকে ঐক্যবব্ধ হওয়া, শান্তি প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন- এটা সত্য, এটা ওনার মনের কথা। কিন্তু বিরোধীদলকে পুলিশ দিয়ে র্যাব দিয়ে ঠ্যাঙাবেন তাতে শান্তি প্রতিষ্ঠা হয় না, শান্তি আসে না।
তিনি বলেন, স্থানীয় সরকারকে জবাবদিহিতামূলক করতে হলে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। আজ সেটা হয়নি। ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের উপর হামলা হয়েছে।
হারুণ বলেন, শিক্ষার অবকাঠামোর উন্নয়ন হয়েছে কিন্তু মৌলিক ভিত্তি তৈরি হচ্ছে না। শিক্ষার মান নেই। শিক্ষার মান অত্যন্ত নিচে চলে গেছে। যোগাযোগ খাতে গত কয়েক বছরে লাখ লাখ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল হচ্ছে কিন্তু সড়কের কি অবস্থা। সড়কে শৃঙ্খলা নেই। সরকার রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করতে গিয়ে এখন বলছেন পাকিস্তানের দেওয়া, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া। এটা ঠিক না, এটা সরকারের ব্যর্থতা। ৫০ বছর পর এখন রাজাকারের তালিকার কী প্রয়োজন ছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাই সঠিকভাবে করতে পারলেন না, এখন রাজাকারের তালিকা করতে গিয়ে কী বেদনা, কী যন্ত্রণা, কী প্রতিক্রিয়া।
বাংলাদেশ সময়: ২১০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২০
এসকে/এএ