মাগুরা: পূর্ব বিরোধের জের ধরে মাগুরা সদর উপজেলার বারাশিয়া গ্রামে মাহিদ হোসেন (৭) নামে এক শিশুকে নদীতে ডুবিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ নিকটাত্মিয়রা। নিখোঁজের পাঁচ দিনপর বারাশিয়া এলাকার নবগঙ্গা নদী থেকে মাহিদের ক্ষত বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করেছে ডুবুরিরা।
রবিবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে বারাশিয়া নবগঙ্গা নদীতে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতের বাবা মুজিবুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, তিন বছর আগে পারিবারিক একটি বিষয় নিয়ে চাচাতো ভাই আসলাম মোল্লার সঙ্গে বিরোধ হয়। এই বিরোধের প্রতিশোধ নিতে আসলাম ও তার ছেলে রোহান পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে বুধবার (৭ অক্টোবর) সকালে মাহিদকে স্থানীয় নবগঙ্গা নদীতে নিয়ে যায়। সেখানে একটি তালে ডোঙ্গার সঙ্গে হাত বাঁধা অবস্থায় মাহিদকে ডুবিয়ে দেয়। এদিকে মাহিদকে না পেয়ে ওই দিন রাতে মাগুরা সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। পরদিন মাহিদের নানা দুলাল হোসেনের কাছে মোবাইল ফোনে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করা হয়। বিষয়টি পুলিশকে জানালে মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে রোহানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় রোহান হত্যার দায় স্বীকার করে পুলিশের কাছে ঘটনার বর্ণনা দেয়।
খুলনার দমকল বাহিনীর সদস্য চিরজিত মন্ডল বাংলানিউজকে বলেন, শনিবার (১০ অক্টোবর) আমরা প্রায় ১১ ঘণ্টা পানিতে ডুবিয়েছি। সন্ধ্যা হয়ে যাওয়া ভাল মত লোকেশন বুঝতে পারিনি। পরে রবিবার (১১ অক্টোবর) সকাল ১১ টা থেকে প্রায় দুইটা পর্যন্ত পানিতে ডুবিয়ে শিশুটির হাত বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করেছি।
মাগুরা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, পুলিশ নবগঙ্গা নদীতে দমকল বাহিনীর ডুবুরিদের মাধ্যমে দুই দিনের তল্লাশি শেষে দুপুর দুইটায় মরদেহ উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে এ ঘটনায় রোহানের বাবা আসলাম মোল্লাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্যে মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত মাহিদের বাবা সদর থানায় এ ব্যাপারে একটি হত্যা মামলা করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২০
কেএআর