ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

অপ্রয়োজনীয় ই-নথি, হুমকিতে সার্ভার ব্যবস্থাপনা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০২০
অপ্রয়োজনীয় ই-নথি, হুমকিতে সার্ভার ব্যবস্থাপনা

ঢাকা: মাঠ পর্যায় থেকে অপ্রয়োজনীয় ই-নথি ব্যবহার করায় হুমকিতে পড়েছে সরকারের ই-নথি ব্যবস্থাপনার সার্ভার। এজন্য ই-নথি ব্যবহারে সর্তকতাসহ অপ্রয়োজনীয় ই-নথি ব্যবহার না করতে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কালক্ষেপণ এড়াতে ই-নথি ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম চালু করে সরকার। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে শোক বার্তা, অভিনন্দন বার্তা বাহ ধন্যবাদ জ্ঞাপন সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় চিঠি ব্যবহার করা হচ্ছে। যার ফলে সার্ভারে চাপ সৃষ্টি হয়।

বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের কাছে সম্প্রতি পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ডিজিটাল বাংলাদেশ ২০২১ বিনির্মাণের লক্ষ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এটুআই প্রোগ্রামের সহায়তায় সরকারি দপ্তরে (মাঠ পর্যায় থেকে মন্ত্রণালয় পর্যন্ত) ই-নথি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে ই-নথি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্ল্যাটফর্ম। সচিবালয় নির্দেশমালা, ২০১৪-এর ১৫ (১) (ক), ১৫ (১) (গ) এবং ১৫ (৬) নম্বর নির্দেশনায় ই-নথি ব্যবহারের সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনায় বলা হয়, বর্তমানে ১৮ হাজারেরও বেশি অফিস ই-নথি ব্যবহার করছে এবং ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ১৯ হাজার সরকারি দপ্তর ই-নথির লাইভে অন্তর্ভুক্তকরণ ও ই-নথির মাধ্যমেই দাপ্তরিক কাজ নিস্পত্তিকরণ এবং ই-নথি কৰ্ম পরিবেশ নিশ্চিতকরণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ফলে প্রতিনিয়ত বিপুল পরিমাণ ডাটা সার্ভারে যুক্ত হচ্ছে।

কিন্তু লক্ষ করা যাচ্ছে যে, বিভিন্ন জেলা-উপজেলা হতে অফিস ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন ব্যতিরেকেই অনাকাঙ্খিত পত্র জারি করা হচ্ছে যেমন; শোকবার্তা, অভিনন্দনবার্তা, ধন্যবাদ জ্ঞাপন পত্র ইত্যাদি। এছাড়া সিস্টেম হতে জারিকৃত পত্রের প্রাপক ও বিষয় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাচাই করে দেখা যায়, নিজ দপ্তরের অভ্যন্তরেও বিষয় ও বিষয় বস্তু ছাড়া অহেতুক পত্র জারি করা হচ্ছে। আরও লক্ষ করা যাচ্ছে, একই বিষয়ে একসঙ্গে সব প্রাপককে পত্র না দিয়ে ভিন্ন ভিন্ন ৫০-১০০টি পত্র করা হচ্ছে। যেমন: সভার নোটিশ, বিজ্ঞপ্তি। এতে সার্ভার ব্যবস্থাপনা ক্ষতি হয়ে ই-নথির মূল্যায়ন প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়, যা শুদ্ধাচারের পরিপন্ত্রি।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের চিঠিতে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের নিয়ন্ত্রণাধীন দপ্তরকে নথি ব্যবস্থাপনায় অনভিপ্রেত পত্রজারি রোধসহ যথাযথভাবে ই-নথির মাধ্যমে কাজ নিষ্পত্তিকরণের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়টি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে কঠোরভাবে পরিবীক্ষণ করা হবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০১১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০২০
এমআইএইচ/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।