ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামির আত্মসমর্পণ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০২০
ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামির আত্মসমর্পণ

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি নাঈম হাসান (২৮) আত্মসমর্পণ করেছেন।

সোমবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ শাহীন উদ্দীনের আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করেন।

আপিলের শর্তে জামিন পেতে আদালতে আত্মসর্মপণ করেছিলেন নাঈম। আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত নাঈম হাসান আড়াইহাজার উপজেলার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের উজান গোবিন্দী গ্রামে আব্দুর রউফ ওরফে রূপ মিয়ার ছেলে ও ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লাক মিয়ার ভাতিজা।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রকিব উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, গত ১৭ সেপ্টেম্বর আাড়াইহাজারে এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনার আট বছর পর ধর্ষণকারী নাঈম হাসানকে (২৮) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। রায়ে অপহরণ ও নারী এবং শিশু নির্যাতন উভয় অভিযোগে পৃথকভাবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ আসামিকে চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার দুই লাখ আদায় করে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর পরিবারকে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। রায়ের ওই সময় আদালতে নাঈম অনুপস্থিত থাকায় ফের তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

মামলার বরাত দিয়ে বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাজী আব্দুস সেলিম ও অ্যাডভোকেট মাসুদ রানা জানান, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা-২০১০ এ নারায়ণগঞ্জ জেলায় পঞ্চম স্থান অর্জনকারী ও ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পাওয়া উজান গোবিন্দী বিনাইরচর উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ওই মেধাবী ছাত্রীকে ২০১২ সালে ৭ এপ্রিল সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে রাস্তা থেকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করেন নাঈম। অপহরণের পর রূপগঞ্জের পারাগাঁও এলাকায় নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে অচেতন অবস্থায় তাকে তাদের বাড়ির সামনের রাস্তায় ফেলে যান নাঈম। পরিবারের সদস্যরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে দ্রুত উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে অপহরণসহ নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে আড়াইহাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।  

মামলা দায়ের পর থেকে স্কুলছাত্রীর পরিবারকে মামলা তুলে নেওয়াসহ যারা সাক্ষী দিয়েছেন তাদের গোপনে বিভিন্নভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। এছাড়াও জামিনে প্রতারণা আশ্রয়সহ বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য দিয়ে আদালতকে বিভ্রান্তি করার চেষ্টা করে কালক্ষেপণ করা হয়। এক পর্যায়ে উচ্চ আদালতে মামলার কার্যক্রম ফের স্থগিতের আবেদন করলে গত সপ্তাহে চেম্বার জজ তা খারিজ করে দেন। পরে গত ১৭ সেপ্টেম্বর চাঞ্চল্যকর এ স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলার রায় ঘোষণা করেন আদালত।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০২০
আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।